কামরাঙ্গার উপকারিতা ও অপকারিতা। কামরাঙ্গার অপকারিতা কি? কামরাঙ্গা খেলে কি সমস্যা হয়?

adx Ar
Adx AR

কামরাঙ্গার উপকারিতা ও অপকারিতাঃ বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলে চোখে পড়ে কামরাঙ্গা ফল গুলোকে। বাংলাদেশ দেশে জাতের যে সকল কামরাঙ্গার জন্মে সে কাঁচা ফলগুলো বেশ টক হয়ে থাকে, আর যখন সেই কামরাঙ্গা গুলো পেকে যায় তখন সেগুলো মিষ্টিতে রূপান্তরিত হয়। 

বর্তমান সময়ে বিদেশী এক ধরনের কামরাঙ্গা যা চলে এসেছে যা অনেক স্বাদে ভরপুর। কামরাঙ্গার পূর্বের বাসস্থান মালাক্কায়। মাঝারি আকৃতির কামরাঙ্গার ডাল পাতা বেশ ঝোপালো এবং শক্তিশালী হয়ে থাকে। কামরাঙ্গা ফলের গাছ প্রায় ৩০ ফুট পর্যন্ত উচ্চতা সম্পন্ন হয়ে থাকে। কামরাঙ্গা ফল আসার আগে সেখানে কিছু ফুল দেখা যায়। এ কামরাঙ্গা ফল গুলো জুন মাস হতে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে ফুল চলে আসে যা সেপ্টেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসে ফল পেকে যায়। ও তো কামরাঙ্গা ফল গুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি রয়েছে। 

কামরাঙ্গার উপকারিতা ও অপকারিতা। কামরাঙ্গার অপকারিতা কি? কামরাঙ্গা খেলে কি সমস্যা হয়? কামরাঙ্গাতে কি কি ভিটামিন আছে? ডায়াবেটিস রোগী কামরাঙ্গা খেতে পারবে কি না?

প্রথম অবস্থায় কামরাঙ্গার বীজ থেকে গাছে সর্বোচ্চ চার বছরের মধ্যে ফল চলে আসে। প্রাপ্তবয়স্ক কামরাঙ্গা গাছ এ প্রতি বছর আনুমানিক আটশত এর বেশি ফল পাওয়া যায়। গরম এবং আর্দ্র জলবায়ু কামরাঙ্গার চাষের উপযোগী সময়।বালিমাটি ছাড়া যে কোন মাটিতে কামরাঙ্গার চাষ করা যায়। 

কামরাঙ্গার গাছের কলম রোপনের মাধ্যমেও কামরাঙ্গার বংশবিস্তার হয়। কামরাঙ্গা চাষ এর জন্য তেমন কোন সার প্রয়োগ করার দরকার হয় না। প্রতিবছর নির্দিষ্ট সময়ে একবার সার প্রয়োগ করাই যথেষ্ট। কামরাঙ্গার জাত সঠিকভাবে নির্ধারণ করা হয় না। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশ টক এবং মিষ্টি বিশেষ করে ১২ মাসেই কামরাঙ্গার ফলগুলো পাওয়া যায়। কামরাঙ্গা বাংলাদেশের একটি অত্যন্ত পরিচিত এবং জনপ্রিয় ফল হিসেবে পরিচিত। 

অন্যান্য ফলগুলোর তুলনায় কামরাঙ্গার দাম অনেক সস্তা। বাংলাদেশের প্রতিটি বাড়ি ঘরের আশেপাশে এই কামরাঙ্গা ফলের এক দুইটি গাছ দেখা যায়। কামরাঙ্গা ফল থেকে বিভিন্ন ধরনের- মোরব্বা, চাটনি, জেলি এবং আচার তৈরি করা হয়। কামরাঙ্গা একটি রপ্তানি যোগ্য ফল হয় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এর চাষ হওয়ার অনেক সম্ভাবনা আছে। 

কামরাঙ্গা ফলে পুষ্টি এবং ভেষজ গুণ

কামরাঙ্গা ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি এবং ভিটামিন সি আছে। ভক্ষণ যোগ্য 100 গ্রাম পাকা কামরাঙ্গায় 88.6 ভাগ জলীয় অংশ, 0.4 গ্রাম খনিজ লবণ, 0.7 গ্রাম আশ, 0.75 গ্রাম আমিষ, 9.5 গ্রাম শর্করা, 11.0 মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম সেই সাথে 1.2 মিলিগ্রাম লৌহ ও ৫০ কিলো ক্যালরি খাদ্যশক্তির সম্পন্ন। 

কামরাঙ্গা পাকা ফলগুলো ভাত না শোক, উচ্চ রক্তচাপ এবং অশ্ব রোগের জন্য অনেক উপকারী। পাতা এবং ডগার গোড়া সেবন করলে জলবসন্ত এবং বক্র কৃমি নিরাময় করা যায়। 

রিলেটেড আর্টিকেল:-

কামরাঙ্গা চারা রুপন পদ্ধতি

সমতল জমিতে বর্গাকার বা আয়তাকার ও পাহাড়ে ভূমিতে কন্টুর পদ্ধতিতে কামরাঙ্গার চারা রোপন করা হয়। কামরাঙ্গা চারা রোপনের সময় : কামরাঙ্গা গাছের চারা এবং কলম রুপম এর উপযুক্ত সময় হচ্ছে জৈষ্ঠ মাস থেকে ভাদ্র মাস পর্যন্ত।এক্ষেত্রে শেষ পদ্ধতির সুবিধা থাকলেও আসেন এবং কার্তিক মাস পর্যন্ত চারা বা কলম রূপম করা যায়। কামরাঙ্গা চারা রোপণে গর্তের আকার: কামরাঙ্গার চারা রোপনের জন্য গর্ত অবশ্যই তৈরি করতে হবে। 

কামরাঙ্গার উপকারিতা ও অপকারিতা। কামরাঙ্গার অপকারিতা কি? কামরাঙ্গা খেলে কি সমস্যা হয়? কামরাঙ্গাতে কি কি ভিটামিন আছে? ডায়াবেটিস রোগী কামরাঙ্গা খেতে পারবে কি না?

কামরাঙ্গা চারা রোপনের জন্য গর্তের সার প্রয়োগ : কামরাঙ্গার চারা রোপনের জন্য প্রতিটি গর্তে সর্বোচ্চ ২০ কেজির, ২৫০ গ্রাম টিএসপি, ২৫০ গ্রাম এমওপি ও ১০০ গ্রাম জিপসাম গর্তের মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে মাটি নিয়ে গর্ত ভরাট করে এবং পানি দিয়ে রেখে দিতে হবে। 

কামরাঙ্গার চারা রোপন : কামরাঙ্গা চারা রোপন গর্তে মাঝখানে চারা সরিয়ে গুড়ার মাটি একটু উঁচু করে রাখতে হবে। কামরাঙ্গার চারা লাগানোর সাথে সাথে একটি শক্ত কাঠিতে বেধে দিতে হবে।  তারপর চারা রোপন করার পরপর এক মাস নিয়মিত সেচ ব্যবস্থা করে দিতে হবে।

শুল্কা মৌসুমে এবং ফল ধরার পর প্রতি 15 দিন পর পর অন্তত তিনবার শেষ দিলে ফল ধরার পরিমাণ হ্রাস পাবে যা ফলন বৃদ্ধি করবে। বর্ষামোশনে বাগানে পানি নিষ্কাশন এর ব্যবস্থা করে রাখতে হবে। 

কামরাঙ্গা ফল সংগ্রহ: কামরাঙ্গার ফল পাকার পর গাছে বেশি দিন থাকবে না এক সপ্তাহের মধ্যে সেগুলো ঝরে পড়ে যাবে। তাই সামান্য হলুদ বরণ ধার্ণ করলে সাথে সাথে হাত দিয়ে বা জাল লাগিয়ে সে ফলগুলো সংগ্রহ করে নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে কামরাঙ্গা ফল সংগ্রহ করার সময় কোন কামরাঙ্গা ফল নষ্ট হওয়া সম্ভাবনা থাকবে না। 

তাই চলুন, কামরাঙ্গার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

কামরাঙ্গার উপকারিতা

কামরাঙ্গার উপকারিতা ও অপকারিতা। কামরাঙ্গার অপকারিতা কি? কামরাঙ্গা খেলে কি সমস্যা হয়? কামরাঙ্গাতে কি কি ভিটামিন আছে? ডায়াবেটিস রোগী কামরাঙ্গা খেতে পারবে কি না?

  • আমি নিম্নলিখিত অংশে কামরাঙ্গার উপকারিতা সম্পর্কে বলে দিচ্ছি। যেমন-
  • কামরাঙ্গা ফল গুলোতে এলজিক এসিড যা খাদ্য নালীর ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে। 
  • কামরাঙ্গা'র পাতা ও ফল গুলোর রসে আছে ট্যানিন। যা রক্ত জমাট বাঁধলে নির্মূল করে দেয়। 
  • কামরাঙ্গার পাকা ফল খেলে রক্তক্ষরণ বন্ধ করে দেয়।
  • কামরাঙ্গা ফল ও পাতা গরম পানিতে জ্বাল করে পান করলে বমি বন্ধ হবে।
  • কামরাঙ্গা ফল খেলে ত্বক সমৃণ করে। 
  • কামরাঙ্গার পাতা ও ডগার গোড়া খেলে জলবসন্ত এবং বক্র কৃমি নির্মূল করা যায়। 
  • কামরাঙ্গা ফল ভর্তা খেলে ঠান্ডা জনিত দূর হয়।
  • কামরাঙ্গা ভর্তা খাবার পর হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। 
  • কামরাঙ্গা ফল খাওয়ার ফলে পেটের ব্যথা দূর করা যায়। 
  • শুকনো কামরাঙ্গা জ্বর সারাতে অনেক উপকারী

করে দেয়া উপকারিতা গুলো ছাড়া আরো অসংখ্য উপকারিতা রয়েছে, কামরাঙ্গা ফল খাওয়ার ফলে। যেমন আপনারা জানতে পারলেন কামরাঙ্গা ফলের উপকারিতা সম্পর্কে তেমনি কামরাঙ্গা ফলের কিছু অপকারিতাও রয়েছে। 

কামরাঙ্গার অপকারিতা

কামরাঙ্গা ফলের অপকারিতা হতে পারে বিভিন্ন দিকের থেকে। এই অপকারিতা গুলো আমরা নিম্নলিখিত ভাবে তালিকা ভুক্ত করেছি। যেমন-

মানুষের স্বাস্থ্য সমস্যা কামরাঙ্গা ফলের কারণে আক্রান্ত হতে পারেন। কামরাঙ্গা ফলে হলুদ রঙের যে রঙ পাওয়া যায়, তার জন্য এর অনেক সময় পাঁচ্ছিষ দিনের মধ্যে ত্বকের প্রতিষ্ঠা ধ্বংস হয়ে যায়। ত্বকের এই প্রতিষ্ঠা ধ্বংসের জন্য সম্পূর্ণ মানুষ রোগী হয়ে পড়তে পারেন।

কামরাঙ্গা ফলের চারা গুলো অনেক কাজে লাগে, যেমন বাগান এবং শস্য উৎপাদনে। কিন্তু কামরাঙ্গা ফলে বয়স্ক চারা আগাছা হয় প্রায় প্রতিটি বছরে, যা বাগান এবং শস্য উৎপাদনে ক্ষতিকারক হতে পারে। এটি উপজাতি গুলির প্রতিস্থানে একটি আপাততা তৈরি করতে পারে এবং উদ্ভিদ বিপজ্জনক মাইক্রোরাইজা বা জীবাণু সংক্রমণ প্রবণ হতে পারে।

বন্যার প্রাকৃতিক পারিস্থিতিক ও জলাবন্দী প্রক্রিয়া কেন্দ্র করে কামরাঙ্গা ফলের উদ্ভিদ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। মাটিতে অধিক কামরাঙ্গা ফলের মাধ্যমে জমি স্থাপন এবং জমির দারিদ্র করণ সম্ভব হতে পারে। এছাড়াও, যখন একটি উন্নত বন্যাচল ক্ষেত্রে কামরাঙ্গা ফল বা তার বীজ বিক্রি করা হয়, তখন উদ্ভিদ অন্য ক্ষেত্রে সুস্থ প্রাকৃতিক জীবনের উপাদানের মধ্যে এন্ট্রি করতে পারে, এটি বন্যার জীববৈচিত্র্য কমানোর কারণ হতে পারে।

কামরাঙ্গার উপকারিতা ও অপকারিতা। কামরাঙ্গার অপকারিতা কি? কামরাঙ্গা খেলে কি সমস্যা হয়? কামরাঙ্গাতে কি কি ভিটামিন আছে? ডায়াবেটিস রোগী কামরাঙ্গা খেতে পারবে কি না?

এগুলো হলো কামরাঙ্গা ফলের সাধারণ অপকারিতা। তবে, দয়াকরে মনে রাখবেন যে, এই ফলের সাথে সম্পর্কিত কিছু উপাদান সম্পূর্ণ পদদলিত করে দিলেও অন্য কিছু উপাদান উপকারিতা ধারণ করতে পারে এবং কামরাঙ্গা ফল ভাল একটি পুষ্টিকর খাবার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অবশ্যই একটি উচ্চ গুণমানের উৎপাদনের জন্য বিশেষ করে উপযুক্ত সার ব্যবহার করা উচিত।

এক্ষেত্রে কামরাঙ্গা ফল খাওয়াতে তেমন বিশেষ কোন সমস্যা নেই। তবে পরিমাণ মতো কামরাঙ্গা ফল খাওয়া উচিত। আর কামরাঙ্গা ফল খাওয়ার পর আপনি যদি কোন সমস্যা মনে করেন তাহলে সরাসরি চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।

শেষ কথাঃ

আমরা জানি বাংলাদেশের জনপ্রিয় একটি টক ও মিষ্টি জাতীয় ফল হচ্ছে কামরাঙ্গা। গ্রাম অঞ্চলে প্রতিটি বাড়িতেই কামরাঙ্গা ফলের গাছ দেখা যায়। কোন কোন অঞ্চলে এই কামরাঙ্গা গাছগুলোতে বারোমাসি ফল দেয়া থাকে। তাই আপনি যদি নিজের শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চান? তাহলে নিয়মিত পরিমান মত কামরাঙ্গা ফল খাওয়া শুরু করুন। আর কামরাঙ্গা ফল খাওয়ার পর যদি কোন সমস্যার সম্মুখীন হন তাহলে দ্রুত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেয়। 

আর আমাদের লেখা কামরাঙ্গার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকলে, অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন ধন্যবাদ। 

ট্যা*গ*স:-

কামরাঙ্গার উপকারিতা ও অপকারিতা। কামরাঙ্গার অপকারিতা কি? কামরাঙ্গা খেলে কি সমস্যা হয়? কামরাঙ্গাতে কি কি ভিটামিন আছে? ডায়াবেটিস রোগী কামরাঙ্গা খেতে পারবে কি না?

adx ar

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

adx ar
Comments

You must be logged in to post a comment.

adx ar
POPULAR ARTICLES
About Author

CEO & Founder