বিদেশি ব্যবসার আইডিয়া। ২০ টি সেরা বিজনেস আইডিয়া যা কেউ জানে না।

adx Ar
Adx AR

বিদেশি ব্যবসার আইডিয়া

হ্যালো! আশা করি আপনারা সকলেই ভাল আছেন। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে, আপনাদের সাথে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পোস্টের সাথে পরিচয় করে দিব সেটি হচ্ছে, বিদেশি ব্যবসার আইডিয়া। আপনারা যারা বিদেশী ব্যবসা করতে চান? তারা সঠিক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছেন। কারণ এখানে, লাভজনক বিদেশী ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

আমাদের বাংলাদেশী অনেকেই বিদেশী ব্যবসার আইডিয়া খোজেন? কারণ বাংলাদেশের যে সকল ব্যবসা রয়েছে, সেই ব্যবসাগুলোর মধ্যে অনেক ব্যবসা রয়েছে যেগুলো বিদেশে গিয়েও করা যায়। তো আজকের এই আর্টিকেলে আপনারা জানতে পারবেন বিদেশি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে। 

 

আপনারা হয়তো সকলেই জানেন ইমপোর্ট এবং এক্সপোর্ট ব্যবসার বিষয়ে। তাই আপনারা যারা বিদেশে ব্যবসা করতে চান? তারা চাইলে কিন্তু বাংলাদেশে ইমপোর্ট এক্সপোর্ট এর বিদেশী ব্যবসার আইডিয়া কে কাজে লাগিয়ে ব্যবসা শুরু করে দিতে পারবেন। আপনি যদি মনে মনে এই ব্যবসার আইডিয়া খুঁজে থাকেন? তাহলে আপনারা এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নিতে পারবেন। 

বিশেষ করে, বিদেশী ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পাওয়ার জন্য, আমাদের লেখা আর্টিকেল ধর্য্য সহকারে শেষ পর্যন্ত করতে হবে। তাহলেই আপনারা ব্যবসার যাবতীয় আপডেট জানতে পারবেন। আর এই ধরনের বিদেশী ব্যবসা গুলোতে আপনি যদি নিজেকে জড়াতে পারেন। তাহলে অনেক বেশি লাভজনক হতে পারবেন অল্প সময়ের মধ্যে। 

 

আপনার জন্য আরো ব্যবসা পোস্ট

আমরা আপনার সুবিধার জন্য এখানে বিদেশি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে লাভজনক ইমপোর্ট এবং এক্সপোর্ট ব্যবসার আইডিয়া জানিয়ে দেবো বিস্তারিত। যা বর্তমান সময়ে, অনেক লাভজনক ব্যবসা হিসেবে প্রমাণিত। তাই চলুন আর দেরি না করে, মূল আলোচনায় ফিরে যাওয়া যাক। বিদেশি ব্যবসার আইডিয়া

 

আর্টিকেল সূচি পত্র

 

১.বিদেশি ব্যবসার আইডিয়া

২. বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করার আগে যা করতে হয়

৩. বিদেশী ব্যবসা করার লাইসেন্স সমূহ

৪. বিদেশি ব্যবসার আইডিয়া সমূহ

৫. অর্গানিক কেমিক্যাল ইমপোর্ট ব্যবসা

৬. ফার্মাসিটিক্যাল প্রোডাক্ট এক্সপোর্ট -ব্যবসা

৭. কটন ইম্পর্ট ব্যবসা

৮. সি ফুড এক্সপোর্ট ব্যবসা

৯. মোবাইল অ্যাক্সেসরিজ ইমপোর্ট ব্যবসা

১০. কসমেটিক্স পণ্যের ব্যবসা

১১. পেঁয়াজ ইমপোর্ট এর ব্যবসা

১২. ইলিশ মাছ রপ্তানি ব্যবসা

১৩. আপেল, কমলা এবং আঙ্গুর এর আমদানি ব্যবসা

১৪. ইলেকট্রনিক্স পণ্য আমদানির ব্যবসা

১৫. সর্বোপরি আমাদের কথা

 

১. বিদেশি ব্যবসার আইডিয়া 

 

আপনি যদি নিজের দেশ থেকে তথা বাংলাদেশে ব্যবসা করার জন্য অন্য কোন দেশ। বিশেষ করে, বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করে। যে, ব্যবসা শুরু করবেন তাকে আমদানি ব্যবসা বলা হয়। আর যারা এ ধরনের ব্যবসার সাথে জড়িত থাকে। তাদেরকে বলা হয় আমদানিকারক। আবার নিজের দেশ এর পন্য সামগ্রী অন্য দেশে। বিশেষ করে, বিদেশে রপ্তানি করে, ব্যবসা করাকে রপ্তানি ব্যবসা বলা হয়ে থাকে। 

আর এই ব্যবসা গুলোকে আমরা ইংরেজি ভাষায় বলে থাকি এক্সপোর্ট বিজনে (Export Business )। আর যারা এই এক্সপোর্ট ব্যবসার সাথে জড়িত তাদেরকে বলা হয়, রপ্তানিকারক ব্যবসায়ী। বিদেশী ব্যবসা করার আগে আপনাকে অবশ্যই কিছু পদক্ষেপ অনুসরণ করতেই হবে। 

বিশেষ করে, কিভাবে পণ্যগুলো আমদানি করবেন এবং রপ্তানি করবেন, সে বিষয়ে। এছাড়া, বিশেষ করে বিদেশি ইমপোর্ট এবং এক্সপোর্ট ব্যবসা করার জন্য কি কি কাগজ পত্র এবং লাইসেন্স প্রয়োজন হবে। ব্যবসা শুরু করার জন্য কি পরিমানের পূঁজি প্রয়োজন হবে, সে বিষয়ে জানতে হবে বিস্তারিতভাবে। 

 

২. বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করার আগে যা করতে হয়? 

আপনারা যারা নিজের দেশ থেকে বিদেশি পণ্য আমদানি করতে চান? তাদের কে অবশ্যই কিছু বিষয় আগে থেকে জানতে হবে। তো আমি আপনাকে সঠিক তথ্য দেওয়ার জন্য, জানিয়ে দেবো। বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করার আগে যা যা করতে হবে। যে বিষয় গুলো আপনি ব্যবসা শুরু করার সময় জেনে নিতে পারলে, অনেকটাই লাভজনক হতে পারবেন। 

তো চলুন আর দেরি না করে, বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করার আগে যা করতে হয় সে বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক। যেমন-

১. পণ্য আমদানি করার আগে কি ধরনের পণ্য আমদানিকারী করবেন সে বিষয় টি নির্ধারণ করবেন।  

২. আপনি কোন দেশ হতে পণ্য গুলো আমদানি করবেন সেটি নির্ধারণ করবেন। 

৩. আপনার পণ্যগুলো আমদানি করার জন্য লাভজনক হবে কিনা সে বিষয়ে বিশেষভাবে বিশ্লেষণ করে দেখবেন। 

৪. পণ্য আমদানির বিষয়ে সবকিছু যদি ঠিকঠাক থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার আমদানি কাজের জন্য লাইসেন্স করতে হবে। 

তো আপনার যারা বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করতে চাচ্ছেন? তাদের কে উপরোক্ত বিষয়গুলো নির্ধারণ করে তারপর পণ্য আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাহলে আপনার কোন ঝামেলা ছাড়াই বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। 

৩. বিদেশি ব্যবসা করার লাইসেন্স 

আপনার যারা বিদেশী ব্যবসায় নিজেকে জড়াতে চান, সে ক্ষেত্রে আপনার ব্যবসাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য অবশ্যই লাইসেন্স করতে হবে। তো আপনারা কি ধরনের লাইসেন্স করে, ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। সে বিষয়ে আমরা আপনাকে জানিয়ে দেবো। 

বিশেষ করে, বিদেশে ব্যবসা করার জন্য লাইসেন্স করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ লাইসেন্স ছাড়া আপনি যদি বিদেশী ব্যবসা শুরু করেন। সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনাকে বিভিন্ন ধরনের লাইসেন্স করতে হবে। যেমন-  

১. বিদেশি ব্যবসার জন্য ট্রেড লাইসেন্স করতে হবে। 

২. বিদেশি ব্যবসার জন্য তিন সার্টিফিকেট অর্জন করতে হবে। 

৩. বিদেশে ব্যবসার জন্য ব্যাংক সচ্ছলতার সার্টিফিকেট থাকতে হবে। 

৪. বিদেশী ব্যবসা জন্য পাসপোর্ট সাইজের ছবির প্রয়োজন হবে। 

৫. বিদেশী ব্যবসার জন্য স্বীকৃতি এসোসিয়েশন এর বৈধ সদস্য সার্টিফিকেট থাকতে হবে। 

উপরে যে বিষয়গুলো আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। এই সকল কাগজপত্র এবং লাইসেন্স গুলো থাকে, তাহলে আপনাদেরকে আমদানি এবং রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে আপনার আমদানি লাইসেন্স সংগ্রহ করে নিতে হবে। 

বিদেশি পণ্য আমদানি লাইসেন্স বানানোর পর আপনাকে রপ্তানি কারক দেশ থেকে একজন সঠিক বিক্রেতা খোঁজে বের করে নির্ধারণ করতে হবে। 

রপ্তানি কারক বিক্রেতা খুঁজে পাওয়ার পরে, তিনি হয়তো তার টাকা নিরাপত্তা সম্পর্কে জানতে চাবেন। সে সময় আপনাকে প্রত্যয়ন পত্র তৈরি করতে হবে। প্রত্যয়ন পত্র মূলত দুই পক্ষের টাকা লেনদেনের এবং টাকা নিরাপত্তা প্রদান করে থাকে। রপ্তানি কারক আপনাকে কিভাবে পণ্য আপনার নিজের দেশে পাঠাবে সে সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। 

রপ্তানি কারোর পণ্য আপনার বাংলাদেশের পৌঁছে গেলে আপনার আমদানি লাইসেন্স, চালানোর আপনাদের এন আইডি কার্ড/ জাতীয় পরিচয় পত্র সহ অন্যান্য দরকারি কাগজ পত্র দিয়ে কাস্টমার থেকে পণ্য নিয়ে আসতে পারবেন। তো আশা করি আপনারা ডিটেলস ব্যবসা করার লাইসেন্স সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে গেছেন।

৪. বিদেশি ব্যবসার আইডিয়া সমূহ

বর্তমান সময়ে আপনারা নিজের দেশ থেকে বিভিন্ন ধরণের বিদেশি ব্যবসা করতে পারবেন। তবে তার মধ্যে আমরা আপনাকে এমন কিছু ইমপোর্ট এবং এক্সপোর্ট ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে জানাব। যে বিষয় গুলো জানার পরে, আপনার খুব সহজেই বিশেদি ব্যবসা গুলো শুরু করতে পারবেন।

তো চলুন আর দেরি না করে, বিদেশি ব্যবসার আইডিয়া গুলো জেনে নেওয়া যাক।

৫. অর্গানিক কেমিক্যাল ইমপোর্ট ব্যবসা

আমাদের বাংলাদেশ পার্শ্ববর্তী দেশ আছে ভারত। ভারতে অনেক পরিমানের অর্গানিক কেমিক্যাল তৈরি করা হয়। যার চাহিদা আমাদের বাংলাদেশসহ আরও বিদেশি অনেক দেশ গুলোতে চাহিদা সম্পন্ন। ক্যামিকেল গুলো কৃষি কাজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ তৈরি করার জন্য ব্যবহার করা হয়। আর আপনারা অবশ্যই জানবেন আমাদের বাংলাদেশ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। এবং ঔষধ উৎপাদনের দিক থেকে কতটা অগ্রসর। 

তো আপনারা চাইলে বিদেশী ব্যবসা হিসেবে এর সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অর্গানিক কেমিক্যাল ইমপোর্ট করার বিদেশী ব্যবসাটি শুরু করে দিতে পারেন। অর্গানিক কেমিক্যাল ইমপোর্ট ব্যবসা এমন একটি ব্যবসা যার বর্তমানে অন্যতম লাভজনক একটি ব্যবসা হিসেবে প্রমাণিত। ব্যবসা শুরু করলে আপনারা অল্প দিনের মধ্যে লাভজনক হয়ে যেতে পারবেন। 

৬. ফার্মাসিউটিক্যাল প্রোডাক্ট এক্সপোর্ট ব্যবসা

বাংলাদেশের গণনা অনুযায়ী ২০১৯ থেকে ২০২০ অর্থবছর এ ফার্মাসিটিক্যাল প্রোডাক্ট এক্সপোর্ট করেছে, প্রায় এক বিলিয়ন ডলার এর বেশি। তার মধ্যে পরিষ্কারভাবে জানা গিয়েছে বিশ্বের প্রতিটি দেশে বাংলাদেশ এর ফার্মাসিটিক্যাল প্রোডাক্ট এর ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। 

তো আপনি যদি বিদেশে ব্যবসা করার আইডিয়া খোঁজেন তাহলে আমি আপনাকে পরামর্শ দিব, আপনারা ফার্মাসিটিক্যাল প্রোডাক্ট এক্সপোর্ট করার ব্যবসাটি বেছে নিতে পারেন। তো এই ব্যবসাটি শুরু করার পরে, আপনারা দ্রুত সফলতা অর্জন করতে পারবেন। 

আর এই ব্যবসাটি শুরু করার জন্য আপনার মোটামুটি ভালো পরিমাণের মূলধন খাটাতে হবে। আর এখানে যে পরিমাণ টাকা আপনি খাটিয়ে ব্যবসা শুরু করবেন। সেই পরিমাণ এর টাকা কখনোই লুকান হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না সবসময়ই লাভই হবে। 

৭. কটন ইমপোর্ট ব্যবসা

আমাদের বাংলাদেশে কিন্তু পোশাক শিল্প হিসেবে অনেক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বিশেষ করে আমাদের বাংলাদেশ গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি গুলো কতটা এগিয়ে রয়েছে, সে বিষয়ে আমরা কেউ অজানা নেই। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ পৃথিবীর গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিতে দ্বিতীয় অবস্থানে কাজ করে যাচ্ছে। এবং গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি গুলোতে অনেক পরিমাণের কটন বা তোলার ব্যবহার করা হয়। 

আর আমাদের পাশের দেশ তথা ভারত এ অনেক বেশি পরিমাণে তোলা উৎপাদন করে থাকে। তো আপনারা চাইলে ভারত থেকে কটন বা তোলা আমদানি করে বাংলাদেশ এর গার্মেন্টসে সাপ্লাই করে, অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এরকম ভাবে বিদেশী ব্যবসার আইডিয়াকে কাজে লাগিয়ে আপনারা ইমপোর্ট বিজনেস গড়ে তুলতে পারেন। আর এ ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনার তেমন বেশি টাকা খরচ করতে হবে না। 

আপনারা কিছু পরিমাণের টাকা ফোরজি খাটিয়ে বিদেশী ব্যবসা হিসেবে, কটন ইমপোর্ট ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। 

৮. সি ফুড এক্সপোর্ট ব্যবসা

সি ফুড এক্সপোর্ট এর ব্যবসা অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে সম্পূর্ণ ইউরোপে বাংলাদেশে অনেক পরিমাণের সামগ্রিক খাবার পাওয়া যায়। বিশেষ করে- মাছ, হিমায়িত চিংড়ি আরো ইত্যাদি খাবারগুলোর রপ্তানি করে থাকেন। তারপর তাদের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয়না তার প্রধান কারণ হলো এদের ভোক্তার চাহিদা অনেক বেশি থাকে। 

তো আপনারা সি ফুড ব্যবসা গড়ে তুললে অল্প সময়ের মধ্যে লাভজনক হতে পারবেন এবং এই ব্যবসাটি বাংলাদেশের নাগরিকরা অনেক সহজেই করতে পারবেন। তাই আপনারা চাইলে সি ফুড এক্সপোর্ট বিদেশি ব্যবসা আইডিয়াকে কাজে লাগিয়ে, একজন সফল বিজনেসম্যান হয়ে উঠতে পারেন। 

৯. মোবাইল অ্যাক্সেসরিজ ইমপোর্ট ব্যবসা

বাংলাদেশ এর বাজারগুলোতে মোবাইল অ্যাক্সেসরিজ’র ব্যাপক চাহিদা আছে। বর্তমান সময়ে, মোবাইল অ্যাক্সেসরিজ মার্কেটে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার দামে দাঁড়িয়েছে। যা প্রতি বছর 20% বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনলাইনের সহজলভ্যতা ও স্মার্টফোনের জন্য দিন দিন এই মোবাইল অ্যাক্সেসরিজ পণ্য গুলোর চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে। 

মোবাইল অ্যাক্সেসরিজ গুলোর মধ্যে যেগুলো রয়েছে সেগুলো হচ্ছে- ইউ এস বি ক্যাবল, মোবাইল ব্যাক কভার, মোবাইল চার্জার, মোবাইল হেডফোন, স্ক্রীন প্রোটেক্টর, মোবাইল ডিসপ্লে, মোবাইল ব্যাটারি আরো ইত্যাদি। 

এই সকল মোবাইল এর অ্যাক্সেসরিজ গুলো ছাড়া আরও বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক প্রোডাক্ট চীন দেশ থেকে আপনি আমদানি করে নিজের দেশের বাজারগুলোতে অনেক ভালো দামে বিক্রি করার সুযোগ পাবেন। এই ধরনের বিদেশী ব্যবসা আইডিয়া কে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের বাজারে অনেক বেশি পরিমাণে বিক্রি করে, লাভজনক হওয়া যায়। 

তাই আমি আপনাকে পরামর্শ দিব আপনি যদি বিদেশী ব্যবসা করতে চান? তাহলে, মোবাইল অ্যাক্সেসরিজ ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন।বিদেশি ব্যবসার আইডিয়া

১০. কসমেটিক্স পণ্যের ব্যবসা

বাংলাদেশের মার্কেট গুলোতে কসমেটিক প্রোডাক্ট এর চাহিদা অনেক গুণ বেশি। তবে বাংলাদেশে এই কসমেটিক্স এর উৎপাদন তেমন করা হয় না বললেই চলবে। তবে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে কসমেটিক প্রোডাক্টের উৎপাদন করা হয়। 

আপনারা চাইলে অনেক কম দামে ভারত থেকে কসমেটিক পণ্যগুলো আমদানি করে, নিজের দেশে নিয়ে এসে মানুষের চাহিদা পূরণ করতে পারবেন। আর এই ব্যবসা শুরু করার ফলে নিজেকে একজন সফল ইমপোর্ট ব্যবসায়ী হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন। 

আমরা জানি কসমেটিক ব্যবসা বেশিরভাগ পণ্যগুলো মহিলাদের জন্য তৈরি হয়।  তো আপনাদের সুবিধার জন্য কসমেটিক্স পণ্যের ব্যবসায়ী যে, সকল পণ্য থাকে সেই তালিকা আপনাকে জানাচ্ছি। যেমন-

১. ফেইস পাউডার

২. নেল পালিশ

৩. লিপি স্টিক

৪. মেকআপ বক্স

৫. শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার

৬. সাবান

৭. পাউডার

৮. রুমাল

৯. চিরুনি

১০.তোয়ালে

১১. বডি লোশন

১২. নেল কাটার

১৩. বিভিন্ন পারফিউম ইত্যাদি

আপনারা কসমেটিক ব্যবসা হিসেবে উপরোক্ত পণ্য গুলো নিয়ে বিদেশী ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। 

১১. পেঁয়াজ ইমপোর্ট এর ব্যবসা

বাংলাদেশে পেঁয়াজ উৎপাদনের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছেন। বিশেষ করে, সবথেকে বেশি পেঁয়াজের উৎপাদন হয় ভারতে। আমরা প্রতিবছর কাঁচা বাজার পরিদর্শন করলে দেখতে পাই, ভারত থেকে লক্ষ লক্ষ টন পেঁয়াজ রপ্তানি হয়ে আসে। 

আপনারা চাইলে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে নিয়ে এসে বাংলাদেশ এর বিভিন্ন পাইকারি বাজার গুলো তে বিক্রি করতে পারবেন। পেঁয়া যেহেতু মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস, তাই আমদানি কৃত পেঁয়াজ গুলো খুচরা বিক্রি না করে, বড় বড় পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দিবেন। 

তাহলে আপনারা দ্রুত আমদানিকৃত পেঁয়াজ গুলো বিক্রি করে দিতে পারবেন ভালো করে মানের টাকায়। যেখান থেকে আপনি অনেক লাভজনক হতে পারবেন। 

১২. ইলিশ রপ্তানি ব্যবসা

বাংলাদেশী নাগরিকদের একটি কথা বলে অবহিত করা হয় মাসে ভাতে বাঙালি। এর প্রধান কারণ হচ্ছে এখানে সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত মানুষকে প্রচুর মাছ দিয়েছেন। তো চলতি বছরে আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে, বাংলাদেশ প্রায় কয়েকজন ইলিশ মাছ রপ্তানি করেছেন। 

তো বিদেশী ব্যবসা হিসেবে ইলিশ রপ্তানি ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন। আর এই ব্যবসা করার জন্য আপনাকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে, বিভিন্ন বড় বড় মাজিদের সাথে যোগাযোগ করে ইলিশ মাছ রপ্তানি করে, বিদেশের বিভিন্ন দেশে সাপ্লাই করতে পারবেন। আর এই ব্যবসাতে আপনি যদি টিকে থাকতে পারেন। কিছু পুঁজি খাটিয়ে, তবে আপনারা অল্প সময়ের মধ্যে লাভজনক হতে পারবেন।

১৩. আপেল, কমলা এবং আঙ্গুরের আমদানি ব্যবসা

 

আমরা জানি আমাদের বাংলাদেশে কিন্তু আপেল, কমলা এবং আঙ্গুর উৎপাদন করা এবং চাষ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনা।তাই আপনারা উক্ত আপেল, কমলা এবং আঙ্গুর ফল গুলোর দিকে নজর দিলে দেখতে পারি, আমাদের দেশে এ গুলোর চাহিদা অনেক বেশি।

তাই আপনি যদি বিদেশি ব্যবসা হিসেবে, ফলের ব্যবসা শুরু করতে চান? তাহলে বিদেশের বিভিন্ন দেশ থেকে। যেমন- 

১. অস্ট্রেলিয়া

২. পোল্যান্ড

৩. নিউজিল্যান্ড

৪. মিশর

৫. ভুটান

৬. চীন

৭. পর্তুগাল

৮. ভারত

বিদেশী দেশ গুলো ছাড়া আপনারা আরো অনেক দেশ থেকে, আপেল, কমলা এবং আঙ্গুর আমদানি করে, নিজের দেশে নিয়ে এসে ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করা শুরু করতে পারেন। আর এই ফল গুলো প্রতিদিন মানুষের শারীরিক দিক থেকে সুস্থ রাখার জন্য খেতে হয়। তাই লাভজনক বিদেশী ব্যবসা হিসেবে, এই ব্যবসাটি আপনার জন্য ভালো হবে। 

১৪. ইলেকট্রনিক্স পণ্য আমদানির ব্যবসা

বাংলাদেশ বিদেশি বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা আছে। তাই আপনি যদি বাংলাদেশের নাগরিকদের চাহিদা পূরণ করতে চান সেক্ষেত্রে বিদেশি ব্যবসা হিসেবে ইলেকট্রনিক্স পণ্য আমদানি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। তো ইলেকট্রনিক্স পণ্য গুলোর মধ্যে অনেক পণ্যই হতে পারে যেমন-

অবশ্যই পড়ুন ব্যবসা সম্পর্কিত পোস্ট

০১. কম্পিউটার

০২. স্মার্টফোন

০৩. ফ্রিজ

০৪. টেলিভিশন

০৫. ওয়াশিং মেশিন

০৬. বৈদ্যুতিক তার

০৭. লাইট

০৮. ফ্যান ইত্যাদি বিদেশি ব্যবসার আইডিয়া

 

আপনার চাইলে বিদেশি পণ্য গুলো নিজের বাংলাদেশের বাজার গুলো তে সরবরাহ করতে পারবেন। ইলেকট্রনিক্স প্রোডাক্ট এর ব্যবসা সম্পর্কে আমরা আলাদাভাবে, এই ওয়েবসাইটে পোস্ট করে আপনাকে জানিয়ে দেব যা থেকে আপনারা আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলো জেনে নিতে পারবেন কিভাবে ইলেকট্রনিক্স ব্যবসা শুরু করতে হয়। 

তো বন্ধুরা উপরোক্ত আলোচনায় বিদেশি ব্যবসার যে, আইডিয়া গুলো সম্পর্কে জানতে পারলেন। এ গুলোর যেকোনো একটি ইমপোর্ট বা এক্সপোর্ট ব্যবসা আপনারা খুব সহজেই শুরু করতে পারবেন। আর এই ব্যবসা গুলোর করার জন্য আপনার যদি মন মানসিকতা থাকে এবং আগ্রহ তাকে, তাহলে প্রয়োজনীয় পূঁজি খাটিয়ে ব্যবসাতে নিয়োজিত হতে পারেন। 

১৫. সর্বোপরি আমাদের কথাঃ

আপনারা যারা বিদেশে ব্যবসার আইডিয়া খুঁজে থাকেন। তাদের সুবিধের জন্য, আজকের এই আর্টিকেলে, বিদেশী ব্যবসা হিসেবে জনপ্রিয় কিছু ইমপোর্ট এবং এক্সপোর্ট ব্যবসার সম্পর্কে জানানো হলো।

এখন আপনার যদি বিদেশে ব্যবসা করার আগ্রহী থাকে। বিশেষ করে বিদেশে ব্যবসা করার জন্য আপনার যদি মূলধন থাকে। তাহলে খুব সহজেই লাভজনক ব্যবসা গুলো শুরু করতে পারেন। তো বিদেশী ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে। তবে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন।এছাড়া আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে আরও বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার সম্পর্কিত পোস্ট করতে চাইলে নিয়মিত চোখ রাখুন ধন্যবাদ। 

adx ar

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

adx ar
Comments

You must be logged in to post a comment.

adx ar
POPULAR ARTICLES
About Author

CEO & Founder