ভয়ঙ্কর_বাড়ির_রহস্য পার্টঃ 02
হঠাৎই কে যেন আমাদের পাঁ টেনে ধরল। আমরা পড়ে গেলাম। তারপরই আমরা যা দেখলাম তা দেখার জন্য কেউই প্রস্তুত ছিলাম না।
দেখলামঃপা উল্টো এবং ভয়ঙ্কর চেহারার একটি মেয়ে আমাদের দিকে উড়ে আসছে। এসেই আমাদের গলা কেটে ফেলল। আর সাথে সাথে আমি লাফিয়ে উঠলাম।
গল্পঃ ভয়ঙ্কর বাড়ির রহস্য পার্টঃ- 0১
বুঝলাম খারাপ সপ্ন ছিল। তবে বারবার ওই বাড়িটাকেই সপ্নে দেখছি কেন?
এবার আমার সাহসী বন্ধুদের কল দিলাম। সপ্নে ৩জন বন্ধুকে ডেকে ছিলাম। এবার ৪জনকে ডাকব। লিয়ন হচ্ছে আমার এক সাহসি বন্ধু। বউকে নিয়ে হানিমুনে গিয়েছিল।এবার হয়ত ফিরেছে।
তারপর ৪জনকেই কল দিলাম। কয়েক ঘণ্টা পর ওরা আসল। ওদেরকে সপ্নসহ ঘরটার বিষয়ে পুরো কথা বললাম।
তারপর আবার রাতে যাওয়ার কথা বললাম। দুপুরে খেয়ে দেয়ে রেস্ট নিলাম। তারপর বিকেলে বাইরে বের হলাম আমরা। বাড়িটার সামনে একটি বড় মাঠ। ছোটরা খেলাধুলা করছে।কেউ ফুটবল, কেউ ক্রিকেট খেলছে। হঠাৎই ক্রিকেট বলটা ওই ঘরের কাঁচ ভেঙে ভিতরে চলে গেলে। একটি ছেলে বল আনতে গেল।ছেলেটা জানালা থেকে থেকে বল ছুড়ে মারল।আমি ছেলেটার পিছনে ২টি লোককে দেখতে পেলাম।
তবে কালো কালো দেখা যাচ্ছে, অন্ধকার তাই। হঠাৎই ঘরটির দরজা বন্ধ হয়ে গেল আর ছেলেটি চিৎকার দিয়ে উঠল এবং আবার দরজাটি খুলে গেল। ছোট ছেলে-মেয়েরা সবাই ঘরটির ভেতরে দৌড়ে যেতে লাগল। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই ভুত ভুত বলে চিল্লাতে লাগল ওরা। আমরা ওই ঘরে যেতে চাইলাম। কিন্তু এখন যাওয়া ঠিক হবে না। এমনিতেও খেলা দেখতে দেখতে সন্ধ্যা হয়ে গেছে।
আমরা নানুদের বাড়িতে গেলাম। তারপর কিছুক্ষণ খোশগল্প করলাম।রাতে খাওয়া দাওয়া করলাম। এবার যাওয়ার পালা ওই বাড়িতে। আমি,সিফাত,মাহিম,জুবায়ের এবং লিয়ন একসাথে যাচ্ছি ওই ঘরে। আমরা ঘরে ধোকার সাথে সাথে অদ্ভুদ আওয়াজ শুনতে পেলাম।আর ভুতুরে কান্ডও শুরু হয়ে গেল। কিছুক্ষণ পর পর কে যেন সামনে এসে দৌড় দেয়। তাও আমরা মনে সাহস নিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছি।
হঠাৎই হাতে একটি কুড়াল নিয়ে ভয়ঙ্কর চেহারার একটি মেয়ে ও একটি পুরুষ আমাদের দিকে দৌড়ে আসছে আমরা ভয় না পেয়ে মনে সাহস নিয়ে যুদ্ধ করার জন্য এগিয়ে যাচ্ছি। লিয়ন তো আগেই যুদ্ধের জন্য রেডি হয়ে আছে। তো আমরা যেই-ই ওদের মারা শুরু করলাম, ওদের গায়ে হাতই লাগছে না।হাত এপার-ওপার হয়ে যাচ্ছে।কিন্তু আমি একটা বিষয় খেয়াল করে দেখলাম যে, আমার বন্ধু ওদের কাছে যেতেই ওর গায়ে ওই ভুতেদের ছবি দেখতে পাই। মানে এগুলো প্রযেক্টরের তৈরি? ওদের কাছে ডাকলাম।তারপরও ভুতগুলো যায়গায় দৌড়াচ্ছে।
আমিঃওই দেখ তোরা,ওগুলো প্রযেক্টরের তৈরি নকল ভুত,নাহলে কি যায়গায় দৌড়ায়? লিয়ন ও মাহিমঃহ্যাঁ, যতই মারি গায়ে-ই লাগে না। সিফাতঃতারমানে এগুলো নকল? জুবায়েরঃহ্যাঁ,প্রযেক্টরের তৈরি এজন্যই মারা যায় না।হাত এপার-ওপার হয়। আমিঃতারমানে এখানে কারও বিশাল চক্র চলছে।ভুতের নামে কেউ এখানে অসৎ ব্যবসা চালাচ্ছে? আমরা চারজন আলাদা হলাম। একেকজন একেক রুমে গেলাম।অনেকগুলো রুম খুঁজলাম কিছু পেলাম না। লাষ্ট একটি রুম বাকি আছে। কিছুক্ষণ পর আমার বন্ধুরাও চলে এসেছে। ওরাও নাকি কিছু পায়নি।
আমরা লাষ্ট রুমটায় ধুকলাম। এরপর যা দেখলাম সত্যিই অবাক করার মত। কয়েকজন মানুষের লাস পড়ে আসে। আর কয়েকজন মানুষকে বেঁধে রাখা হয়েছে। আমরা চাইলেই ওদের বাঁচাতে পারি। তবে ওখানে লাল লেজার লাগানো। আমাদের যাওয়ার কোন পথ নেই।লাল লেজারে শরীরের কোনো অঙ্গ বা কিছু স্পর্স হলেই সিকিউরিটি এলার্ম বেজে উঠবে।আজকে বিকালের সেই ছেলেটিও ওখানে বাঁধা অবস্থায় আছে।
ওকে জিজ্ঞেস করলামঃতোমাদের বেঁধে রাখার কারণ কী? আমাকে বলো। আমি তোমাদের বাঁচাতে পারব। এবার ছেলেটি যা বলল, তা শুনে আমরা খুবই বিষ্মিত হলাম। মানুষ কতটা নিষ্ঠুর হতে পারে?.... চলবে?
You must be logged in to post a comment.