সাকিব আল হাসান এর জীবন কাহিনী। ক্যারিয়ার। বিয়ে। আয়। লাইফস্টাইল ইত্যাদি আলোচনা

adx Ar
Adx AR

সাকিব আল হাসান এর জীবন কাহিনী

 

শ্তভেচ্ছা সবাইকে, আজকে আপনাদের সামনে এমন এক ব্যক্তির তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছি। যিনি ক্রিকেটার এবং বাংলাদেশের জীবন্ত কীংবদন্তী সাকিব আল হাসান এর জীবন কাহিনী নিয়ে। যদিও তার বিষয়ে অনেকেরই বেশ ভালো জানা শুনা আছে। তারপরও চেষ্টা করব সাকিব আল হাসানের জীবনের নানা ছোট ছোট বিষয় নিযে আশা করি আজকের লিখাটি আপনার জন্য বেশ উপভোগ্য হবে। 

 

এই লিখায় যেমন থাকবে তার বেড়ে উঠা, কিশোর কাল, শিক্ষা, ক্যারিয়ার, বিয়ে এবং তার পরিবারের সমস্ত ভিতরের খবরা খবর। চলুন তাহলে শ্তরু করি বাংলাদেশের পোষ্টার বয় খ্যাত ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের জীবনী।সাকিব আল হাসান এর জীবন কাহিনী সাকিব আল হাসান Shakib Al Hasan

 

কে এই ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান

 

২৩ এ মার্চ ১৯৮৭ সালে মাগুরায় পিতা মাশরুর রেজার ঘর আলোকিত করে জন্মগ্রহন করেন বর্তমান ক্রিকেট জগতের বড় তারকা সাকিব । ছোট বেলা থেকেই সাকিব খেলা ধুলার পাগল ছিলেন। গল্প শোনা যায় একদিন যদি সাকিব খেলতে না যেতেন তাহলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়তেন। যদি ও খেলা ধুলা তার রক্তে ছিল। তার বাবা ও এক চাচা ন্যাশনাল টিমের হয়ে একসময় ফুটবল মাঠে রাজ করেছেণ। 

 

প্রথমে সাকিব ও ফুটবল পছন্দ করতেন। তবে তিনি বাবার মত না হয়ে ক্রিকেট ছোটবেলাতেই বেছে নিয়েছিলেন। তার গর্ভধারিনী মাতা মোসা: শিরিন শারমিন একজন আদর্শ গৃহিনী ছিলেন এবং বাবা মাশরুর রেজা ছিলেন ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা। ফ্যামিলী থেকে তিনি প্রচুর সহয়োগীতা পেয়েছেন খেলাধুলা শিক্ষার জন্য। বাবা খেলাধুলা পছন্দ করায় বাবার ও সর্বাত্বক সহয়োগীতা পেয়েছেন সাকিব।

 

সাকিব আল হাসানের শ্তরু থেকে বর্তমান

 

বর্তমানে ৫.৯ ফুট  লম্বা সাকিব ১৯৮৭ সালের ২৪ ই মার্চ মাগুরা জেলায় জন্মগ্রহন করেন। বর্তমানে সস্ত্রিক তিনি আমেরিকায় বসবাস করেন। তার স্ত্রী আমেরিকার স্থায় বাসিন্দা । দুই সন্তান নিয়ে তিনি বছরের বেশিরভাগ সময়ই আমেরিকা থাকেন। সাকিব আল হাসান ও খেলাধুলার ফাকে যে সময়টুক ফ্রি থাকেন সে সময়টা আমেরিকায় স্ত্রী সন্তানদের সাথেই সময় কাটান।সাকিব আল হাসান এর জীবন কাহিনী সাকিব আল হাসান Shakib Al Hasan

 

ডাকনাম:

 

সাকিব আল হাসানের ডাক নাম ফয়সাল হলেও, বর্তমানে তিনি সাকিব আল হাসান নামেই বেশি পরিচিত।  ক্রিকটাররা তাকে মাঠে ময়না বলে সম্বোধন করেন এতে তিনি কোন আপত্তি করেন না। 

 

পরিবার

 

 

স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশির , মা শিরিন শারমীন, বাবা মাশরুর রেজা এবং দুই রাজকন্যা ও এক ছেলে , অ্যালাইনা, ইররাম এবং ইজাহ আল হাসান কে নিয়ে এই ছোট্র পরিবার বর্তমানে সাকিব আল হাসানের।

 

বিবাহিত জীবন:

 

১২-১২-১২ সালের কথা মনে আছে আপনাদের। এই বিশেষ সালের বিশেষ তারিখে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন সাকিব। এই সালেই উম্মে শিশিরকে বিয়ে করেছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। যদিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্য্যমে তাদের পরিচয় তবে পারিবারিক ভাবেই তাদের বিয়ের আয়োজন সর্ম্পনৃ হয়েছিল।

সাকিব আল হাসান এর জীবন কাহিনী সাকিব আল হাসান Shakib Al Hasan

ক্যারিয়ার

 

মাত্র ১৯ বছর বয়সে ২০০৬ সালের ৬ আগষ্ট হঠাৎ তিনি জাতীয় দলে ডাক পেয়ে যান। তিনি সেই ম্যাচেও করেছিলেন ম্যাজিক্যাল পারফর্মেন্স। ফলে সেই বছরই ২৮ নভেম্বর ডাক পেয়েজান জাতীয় দলের হয়ে টি টুয়েন্টিতে। সেই সিরিজটি ছিল বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের দ্বি পাক্ষিক সিরিজ। সেই শ্তরু টি টুয়েন্টিতে তাকে আজ পর্যন্ত আর থামানো যাইনি। তিনি রেকর্ড প্রায় ১০ বছর যাবত ওয়ানডে ও টুয়েন্টিতে অল রাউন্ডার ক্যাটাগরিতে ১ম স্থানে অবস্থান করেন।

 

বাংলাদেশ ওনিউজিল্যান্ডের মথ্যকার ২০০৭ সালের ডিসেম্বরের সিরিজেই ডাক পেয়ে যান টেষ্টে ।খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি তিন ফরম্যাটে বাংলাদেশের হয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন এই কিং বদন্তী। 

 

এই সাকিব আল হাসানের বদৌলতে বাংলাদেশ ক্রিকেট এখন বিশ্বে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছে। সাকিব আল হাসান বেশ কিছুদিন আগেই বাংলাদেশের এ যাবৎকালের সেরার পুরস্কার পেয়েছেণ। বাংলাদেশের স্বনামধন্য ক্রিকেটধারাভাষ্যকার আতাহার আলী খান বলেছেন যদি সাকিব থাকে সাথে তবে এবার ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ফাইনাল খেলবে। 

 

সাকিব আল হাসান যেটাই করেন সেটাই ইতিহাস হয়ে যায়,  যেমন তিনি টেস্ট ও  ও ডিআইতে দেশের হয়ে দুই হাজার রান ও একশত উইকেট পাওয়ার গৌরব অর্জ করেন যা এ যাবত মাত্র তিনি সহ দুই জন ক্রিকেটার করতে পেরেছেন এক জ্যাক ক্যালিশ ও অন্য জন সাকিব আল হাসান।

 

ব্যবসা

 

খেলাধুলার পাশাপাশি সাকিব বেশ কিছু ব্যবসা ও পরিচালনা করেন। ক্রিকেটার ইমরুল কায়েসের সাথেও সাকিবের যৌথ হোটেল ব্যবসা আছে । তার কাকড়ার খামার ও আছে বাংলাদেশে। তিনি যেমন খেলাধুলায় সফল তেমনি ব্যবসাতেও সফল। বেশকিছু দিন আগে শোনা গেছে সাকিব স্বর্নের ও ব্যবসা করছেন। এছাড়াও তিনি শেয়ার বাজার ব্যবসার সাথেও জড়িত।

 

খেলাধুলা

 

সাকিব আল হাসান জাতীয় দলের হয়ে খেরার পাশাপাশি বিশ্বের প্রায় প্রত্যাকটি দেশের লীগ গুলো ও খেলে বেড়ান, বিপিএল আইপিএল, পিএসএল, বিগব্যাশ, কাউন্ট্রি লীগ সহ তিনি প্রায় লীগ গুলো খেলে বেড়ান।

 

আয়:

 

প্রায় 300 কোটি টাকার মালিক সাকিব । বর্তমান এক সমীক্ষায় দেখা গেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি টাকার মালিক সাকিব আল হাসান ফায়সাল।বিভিন্ন কোম্পানি তার পেছনে টাকার বস্তা নিয়ে ছুটে।  বাংলাদেশ জাতীয় দলের সেরা নায়ক সাকিব জাতীয় দলের বেতনের পাশপাশি বিদেশী লীগ , ব্যবসা , পন্যের এড, বিভিন্ন নামি দাম ব্যান্ডের পন্য দূত সহ বিভিন্ন উৎস হতে বর্তমান আয় করেন সাকিব। বাংলাদেশী এক গন মাধ্যমের প্রশ্নে জবাবে সাকিব বলেন, যে পারে সে সব জাযগায় পারে। আর আমি কাজ না থাকলে মরে যাবে। আমি সর্বদা কাজের মধ্যে থাকতে ভালবাসি। বিনা পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা

 

পছন্দ: 

 

তিনি ঘুরতে ও কাজ করতে বেশ পছন্দ করেন। জানা যায় তিনি ক্যারিবিয় দ্বীপের দেশে ঘুরতে বেশ স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। তিনি ফুটবল খেলা দেখতে ও বেশ পছন্দ করেন। যেমন তিনি ফুটবলের রাজা মেসিকে পছন্দ করেন এবং সাপোর্ট করেন পাশাপাশি আর্জেন্টিনা ফুটবল দলকেও । 

 

প্রিয় কোচ

 

সাকিবের সবচেযে প্রিয় কোচ বাংলোদেশী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। তবে বিদেশীদের মধ্যে থেকে জেমি সিডন্স ও হাথুরাসিংহেকেও বেশ পছন্দ করেন।

 

প্রিয় মাঠ:

 

তিনি বিকেএসপির মাঠকে খুব পছন্দ করেন কেননা এই মাঠ থেকেই তার মত লীজেন্ডদের ক্যারিয়ারের জন্ম।

 

পছন্দের লীগ:

 

তিনি বিশ্বের অনেক লীগ খেললেও সবচেয়ে বেশি ভারতীয় লীগ আই পি এল কে বেশ গুরুত্ব সহকারে দেখেন। তিনি কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে বেশির ভাগ সময় খেলেছেন। কলকাতায় সাকিবের অনেক ভক্ত আছে। আইপিএল সাকিবের চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা ক্রিকেটার বাংলাদেশে নেই। সাকিব একমাত্র বাংলাদেশী খেলেয়ার যিনি প্রায় ৫ বার আইপিএলে খেলার সুযোগ পেয়েছেন।

 

জন সেবা মূলক কাজ:

 

সাকিব আয়ের জন্য সব সময় ব্যস্ত থাকলে ও এই লিজেন্ড সর্বদা সারারন মানুষকে নিয়ে ভাবেণ। দেশের শিশ্তরা খেলা যেন শিখতে পারে সেজন্র তিনি মাস্কো সাকিব নামে একটি একাটেমী তৈরি করে দিয়েছেণ। এবং সেই একাডেমী দেশের সবচেয়ে ভাল ক্রিকেট কোচ সালাহ উদ্দিন সার কে নিয়োগ ও দিয়েছে। 2023 সালে তিনি ক্যান্সার রোগীদের সহযোগীতা করবার জন্য একটি ফান্ড তেরি করে দিয়েছেন। প্রায় বছরেই ঈদে সাধারন গ্রাউন্ডসম্যান ও গরবি জনগনের মাঝে অথৃ সহায়তা করেন। গেল করোনা ভাইরাসের সময় ও  তিনি অনেক টাকা গরবি দুখিদের মাঝে দান করেছেন। 

 

শেষ কথা: 

 

সাকিব মানেই অন্য কিছু্ সাকিব বাংলাদেশের সর্ব শ্রেনীর মানুষের গর্ব। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় সম্পদ। সাকিব এমন এক চরিত্র যিনি এত কিছু করেছেন এই ছোট্র জীবনে যা লিখতে গেলে লিখাটি অনেক বড় হয়ে যাবে। সাকিব আল হাসানের পথচলা দীর্ঘ হোক। আজকের মত এখানেই শেষ করছি।

 

আশা করছি এই লেখার মাধ্যেমে সাকিব আল হাসান সম্পর্কে নতুন তথ্য দিতে পেরেছি। যদি লিখাটি আপনাদের ভালো লাগে তবেই আমি স্বার্থক। যদি ভালা লেগে থাকে তবে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভূলবেন না। এই রকম নতুন নতুন লিখা আমারা প্রতিনিয়ত পাবলিশ করে থাকি। আশা করি সাথে থাকবেন।

adx ar

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

adx ar
Comments

You must be logged in to post a comment.

adx ar
POPULAR ARTICLES
About Author

CEO & Founder