এক গরিব চাষির দুঃখের গল্প
কোনো এক গ্রামে একছিলো গরিব চাষি,সে সারা দিন মাঠে কাজ করতো। আর সে কাজ করে যে মজুরি পেতো তা দিয়ে কোনো রকম চলতো সেই চাষির পরিবার। তার ছিলো দুই সন্তান তাদের নাম ছিলো মানিক ও রতন মানিক ছিলো বড় আর রতন ছিলো ছোটো,মানিকের বয়স ছিলো দেশ বছর এবং রতনের বয়স ছিলো সাত বছর। বাবার অভাব অনাটনের সংসারে লেখা পড়ার ফাঁকে কোনো না কোনো ভাবে সাহায্য করতো রতন ও মানিক। ছোটো সন্তানদের এই সাহায্য করা দেখে বাবার চখে জ্বল চলে আসে, রতন ও মানিকের বাবা কান্নার স্বরে তার মাকে বলে দেখেছো মানিকের মা তোমার ছেলেরা খুবি কর্মঠ্য। কোনো না কোনো ভাবে সাহায্য করছে আমকে!
রতনের মা বাবাকে বলে দেখো একদিন আমার দুই সন্তান আমাদের সব অভাব অনাটন মুছে দিবে,আমরা সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পরবো এই সমাজে। অন্য লোকদের মতো আমরাও খুব বিলাশ বহুল ভাবে জীবন যাপন করতে পারবো,এ কথা শুনে রতনের বাবা বলে তাই যেনো হয় আল্লাহ যেনো তোমার কথা শুনে। আমার দুই ছেলে লেখাপড়া করে বড়ো হয়ে ভালো চাকরি পায় আর আমাদের এই ঘড়টাকে আলো কতো করে তোলে,এই বলে রতনের বাবা, মা রতন ও মানিককে ঘরে ডেকে নিয়ে যায় এবং খাবার খেতে দেয় রতন ও মানিককে। গরিব সংসার চাউল নিয়ে আসতে লবন ফুরিয়ে যায় ,সেদিন তরকারি ছিলো না মা ভাত লবন দিয়ে মেখে খেতে দিলো মানিক ও রতন কে। ছোট ভাই রতন ভাত দেখে মাকে বলে উঠলো মা আমরা কি একদিনো ভালো খাবার খেতে পারবো না?
ছেলের এ কথা শুনে মানিকের মা চুপচাপ রইলো! কি জবাব দিবে এই নিশপাপ ছেলেকে,দুঃখের এই জীবনে কতোই আর কষ্টের নাগাল পাবে তারা।টিক তখনি বড় ছেলে ছোটো ভাই রতন কে বলে আরে পাগল কথায় আছে শুনিশনি দুঃখের শেষেই তো আসে সুখ, আজ আমাদের দুঃখ আছে কাল হয়তো আমরা সুখে থাকবো ৷
বড় ভাইয়ের এ কথা শুনে রতন মাথা ঝুঁকিয়ে খাবার খেয়ে উঠে,আর মা শুধু অঝর দুনয়নের শীতল দুই চোখের পানি মুছতে থাকে। এ ভাবে কষ্টে কষ্টে জীবন কাটতে থাকে তাদের,এবং বড়ছেলে মানবক এরি মাঝে এস এস সিটি পাশ করে কলেজ পদারপর্ন করে।এবং মানিক কলেজ ঠিক মতো লেখাপড়া করতে থাকে,এভাবেই কেটে যায় দুটি বছর মানিকের। মানিক কলেজ শেষ করে যখন অর্নাসে পড়া সুযোগ পায় আর তখন সে সুযোগ কে কাজে লাগায় মানিক,সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে মানিক শুরু করে তার লেখা পড়া এবং তার হোটেলের এক বড় ভাই মানিকের কষ্টের কথা শুনে বিশাল বড়ো লোকের বাড়িতে তার মেয়রাে পড়ার সুব্যবস্থা করে দেয়।
কিছুদিন যেতে না যেতেই সেই মেয়েটার সাথে মানিকের ভাব বিনিময় হয় এবং দুজনই দুজনের প্রেমে পরে যায়।
এভাবে কএক বছর কাটে মানিক এবং মেয়েটির,হঠাৎ মানিকের চাকুরীর ব্যবস্থা হয় মানিক চাকুরিতে যোগদান করে এবং সেই মেয়েটাকে বিবাহ করে সুখে জীবন যাপন করতে থাকে।
এ দিকে রতন তার বাবার কষ্ট দেখতে না পেরে লেখাপড়া বাদ দিয়ে লোকের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালায়।
কিন্তু মানিক চাকুরী পাওয়ার পরেও মা,বাবার কোনোই খোঁজ খবর রাখে না তার বাবা মা কিভাবে চলছে? কি খাচ্ছে কি পড়ছে এর কোন খবর নেই যদিও বা মানিক বড় ছেলে। এদিকে মানিকের বউ যদি মানিককে জিজ্ঞেস করে তোমার বাবা-মা কোথায় চলো আমরা আমাদের বাড়িতে যাই এখন তো আমরা বিবাহিত আমি তোমার মা-বাবার সঙ্গে এক বাড়িতে থাকতে চাই সবাই এক বাড়িতেই থাকবো একসাথে?এইসব কথা শুনলে মানিক সব প্রশ্নকে এড়িয়ে চলে মনে মনে ভাবে? রিমা যদি মানিক এর ব্যাপারে সত্যিটা জানতে পারে যদি রিমা তাকে যায় এই কথা ভেবে সত্যিটা লুকিয়ে থাকে মানিক।এভাবে কেটে যায় এক দুই বছর, একদিন মানিকের শরীরটা কেমন জানি করছিল তাড়াতাড়ি অফিস থেকে বাসায় ফিরে মানিক।
মানে খুব তাড়াতাড়ি অফিস থেকে ফিরে এ কথা তার বউ বলার সাথে সাথেই মানিক বলে অফিসে কাজের চাপ কম থাকার কারণে সে খুব তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে আসে। এরকম করে মানিকের প্রায়ই জ্বর ওঠে সে অবহেলা করে ডাক্তার কেউ দেখায় না একদিন হঠাৎ করে মানিকের প্রচন্ড জ্বর আসে তাকে ডাক্তার নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেই সুস্থ হয়ে ওঠে। এর মধ্যেই হঠাৎ রতনের সাথে দেখা হয় মানিকের,বড় ভাইকে দেখে রতন মানিককে ডাকে এবং রতনকে অনেক না চেনার ভান করে এড়িয়ে যায়। ছোট ভাই রতন দেখার জন্য তেই দাঁড়িয়ে থাকে তার ভাইয়ের সাথে কথা বলার জন্য রতন অপেক্ষায় থাকে। বড় ভাই মান রতনের সাথে কথা না বলার জন্যই এই রাস্তা দিয়ে যে আর আসে না সেটা রতন জানেনা বেচারা রতন দাঁড়িয়ে থাকে তার বড় ভাইয়ের অপেক্ষায়। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম ইতিহাস আবারো হঠাৎ করে দেখা হয়ে যায় মানিকের সঙ্গে তখন রতন তার সামনে এসে বলে কেন তুমি আমাকে দেখে এড়িয়ে
যাচ্ছো আমি কি তোমার ভাই না তখন মানিক রাগ করে রতনকে পকেট থেকে কয়েক হাজার টাকা বের করে দেয় এবং বলে তুই কোনদিন আর আমাকে ভাইয়ের পরিচয় দিবি না এই টাকাগুলো নিয়ে বাড়ি ফিরে যা। ভাইয়ের মুখে এই কথা শুনে নতুনের দুই চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরে যায় এবং বড় ভাইকে নতুন বলে ভাই আমি টাকার কাঙ্গাল না,তোর টাকা তোর কাছে রাখ একদিন কাজে লাগবে। এই কথা বলেই রতন মুছতে মুছতে ফিরে এলো তার নিজ গ্রামে। ঐতিহাসিক বেলাল হোসেন
Where Next?
You must be logged in to post a comment.