বিনা পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা। ২০ টি গোপন আইডিয়া যা আপনাকে কেউ বলবে না

adx Ar
Adx AR

বিনা পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা

বর্তমান সময়ে আমাদের সমাজে এমন অনেকেই রয়েছে যারা বিনা পুঁজিতে ব্যবসার আইডিয়া খোজে থাকেন? সত্যি কথা বলতে গেলে বিনা পুঁজিতে ব্যবসার আইডিয়া গুলো দেওয়া একটু কঠিন ব্যাপার। বর্তমান সময়ে আপনি বিনা ইনভেস্টে কিছু করতে পারবেন এই কথা বলা কিন্তু একেবারেই অসম্ভব। বিশেষ করে বিনা ইনভেস্টে কোন ব্যবসায়ী শুরু করা যায় না অল্প হলেও খরচ হয়। 

কিন্তু একেবারে বিনা পুঁজিতে ব্যবসা শুরু না করতে পারলেও, নামমাত্র কিছু টাকা বিনিয়োগ করে অবশ্যই ব্যবসা চালু করতে পারবেন। কিন্তু এই ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু বিষয়ের উপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং কঠোর পরিশ্রম করতে হবে ব্যবসা দাঁড় করানোর জন্য। তো আপনারা শুনলে অবাক হবেন। এমন কিছু ব্যবসা রয়েছে যেগুলোতে বিনা পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা গুলো করা যায়। তো কি ধরনের ব্যবসা গুলো আপনারা বিনা পুঁজিতে শুরু করতে পারবেন সে বিষয়ে আজকের আর্টিকেলে জানিয়ে দেয়া হবে। 

তাই আপনি যদি এ বিষয়ে সঠিক ধারণা পেতে চান, তাহলে আমাদের লেখা বিনা পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া শেষ পর্যন্ত ধৈর্য সহকারে পড়ার চেষ্টা করুন। বিনা পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা

বিনা পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া গুলো 

আমাদের জানামতে, আমাদের বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য অনলাইন থেকে শুরু করে অফলাইনে এমন কতগুলো লাভজনক ব্যবসা রয়েছে। যেগুলোতে আপনারা বিনা পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। তো এমন কিছু লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া আপনাকে দেব। যেগুলো নিজের ঘরে বসে আবার কিছু কিছু ব্যবসা নিজের এলাকার মধ্যেই করতে পারবেন। তো কি কি ব্যবসা আপনারা বিনা পুঁজিতে শুরু করবেন। সে বিষয়ে জানতে নিচে দেওয়া পদক্ষেপগুলো ধাপে ধাপে অনুসরণ করুন। 

ড্রপশিপিং ব্যবসা আইডিয়া

বর্তমান সময়ে একদম বিনা পতিতে ব্যবসা শুরু করতে চাইলে আপনারা ড্রপ শিপিং ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। ড্রপ শিপিং এমন একটি ব্যবসা যেখানে আপনাদের অনলাইন স্টোর এর মাধ্যমে অন্য কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট গ্রাহকদের সামনে উপস্থাপন করতে হবে। গ্রাহকরা যখন আপনার পণ্যগুলো পছন্দ করবে সেটি কেনার জন্য অর্ডার করবে সে সময় আপনি সেই অর্ডার কোম্পানির কাছে পৌঁছে দিবেন। তখন আপনার দায়িত্ব থাকবে সেই পণ্যটি কোম্পানির ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়া। 

ড্রপ শিপিং ব্যবসায়ী আপনাদের লাভ হচ্ছে- কোম্পানির নির্দিষ্ট দামের চেয়ে বেশি দামে প্রোডাক্ট গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করা। মনে করুন- আপনার একটি টি-শার্টের দাম ৩০০ টাকা। এখন আপনি সেট টি শার্ট গ্রাহকের কাছ থেকে ৪০০ টাকা বিক্রি করে কোম্পানিকে ৩০০ টাকা পে করলেন সেখানে বাঁকে যে ১০০ টাকা থাকবে সেটি আপনার লাভ। তো আপনারা এই ধরনের ড্রপ শিপিং ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনার নিজের একটি ওয়েবসাইট থাকতে হবে। সে ওয়েবসাইটে আপনি অন্য কোম্পানির প্রোডাক্ট প্রমোট করবেন। এবং অনলাইন স্টোরে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম আছে সেগুলোতে স্টোর তৈরি করে ব্যবসা শুরু করে দিবেন। 

আশা করি, আপনারা এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন বিনা পরিতে লাভজনক ব্যবসা হিসেবে। শুধুমাত্র আপনার কাজের দক্ষতা থাকতে হবে আপনি যত বেশি পরিমাণের প্রোডাক্ট বিভিন্ন কোম্পানির কাছে সেল করতে পারবেন তত বেশি পরিমাণে উপার্জন করতে পারবেন। মহিলাদের জন্য ঘরে বসে ব্যবসা আইডিয়া

ব্লগ বিজনেস আইডিয়া

আপনার যারা একদম বিনা পরিতে ব্যবসা স্টার্ট করতে চান? তারা ব্লক বিজনেস ব্যবসা আইডিয়া বেছে নিতে পারেন।এখন যদি আপনারা প্রশ্ন করেন ব্লগ বিজনেস কি? তাহলে এর উত্তরে বলব- ব্লক কনটেন্ট এর মাধ্যমে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বিক্রি করে ব্যবসা পরিচালনা করা কে বোঝানো হয়। তাই আপনি যদি লেখালেখি করতে পছন্দ করেন। বিভিন্ন কোম্পানির ব্লগ লিখে কোম্পানির বিভিন্ন প্রোডাক্ট এবং সার্ভিস বিক্রি করে, বিনা পুঁজিতে পণ্য বিক্রি করে লভ্যাংশ অর্জন করতে পারবেন। ব্লক বিজনেস এর জন্য আপনাকে ভালো ও উন্নত মানের আর্টিকেল তৈরি করতে হবে। 

তার কারণ ভালো এবং উন্নত মানের আর্টিকেল তৈরি করার ফলে সে আর্টিকেলটি সার্চ ইঞ্জিনে ‍র‌্যাঙ্ক করাবে। আর যখন আপনাদের আর্টিকেলটি সার্চ ইঞ্জিনে রেংক করবে তখন আপনারা সেই আর্টিকেলে হিউজ পরিমাণ। আর যত বেশি ভিজিটর আপনার ব্লক পোস্ট করতে আসবে তত বেশি পরিমাণে প্রোডাক্ট এবং বিভিন্ন সার্ভিস বিক্রি করতে পারবেন। 

তাই আপনি যদি বিনা ইনভেস্টে ব্যবসার কথা চিন্তা করেন তাহলে, বিভিন্ন কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে, ব্লক বিজনেস শুরু করতে পারবেন লেখালেখি করে। যেখানে আপনার কোন টাকা ইনভাইট করার দরকার হবে না। একদম বিনা প্রতি তে লাভজনক ব্যবসায়ী হিসেবে পণ্য বিক্রি করে লভ্যাংশ ভোগ করতে পারবেন।বিনা পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা

ইউটিউব চ্যানেল ব্যবসা আইডিয়া

বর্তমান সারাবিশ্বে youtube এতটা জনপ্রিয় হয়ে গেছে যে। ছোট বড় এমন কোন লোকবাদ নেই যারা youtube চ্যানেলের ভিডিও গুলো না দেখে। বলতে গেলে পাঁচ বছর বয়স থেকে শুরু করে ৭০ বছর বয়সী সকলেই ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও গুলো উপভোগ করেন। তাই আপনি চাইলে ইউটিউবে একটি চ্যানেল তৈরি করতে পারেন। কারণ এখানে মানুষ প্রতিদিন অনেক বেশি সময় দিয়ে থাকে। আর ইউটিউব চ্যানেলে আপনারা বিভিন্নভাবে ব্যবসা করতে পারবেন। 

আপনাকে ধারণা দেয়ার জন্য আমি আপনাকে জানাতে চাই। ইউটিউব চ্যানেলে ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে বেছে নিতে পারেন। ডিজিটাল মার্কেটিং প্রোডাক্ট বিক্রি। বিভিন্ন ধরনের টিউটোরিয়াল ভিডিও কোর্স বিক্রি। এছাড়া ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও তৈরি করে, google এডসেন্স মনিটাইজেশন করে, ইনকাম করার সেরা সুযোগ। এখন আপনারা আপনার পছন্দমত যেকোনো একটি ব্যবসার আইডিয়া বেঁচে নিয়ে, বিনা পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা youtube এর সাথে শুরু করতে পারেন। 

আমাদের জানামতে যারা ইউটিউব চ্যানেল নিয়ে কাজ করছে তারা মাস শেষে প্রায় লাখ টাকার মত উপার্জন করছে।যারা নিজের টাকা খরচ না করে ইউটিউব চ্যানেলে ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে ভিডিও বানাচ্ছে- তারা বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্ট ভিডিও আকৃতিতে তৈরি করে, ইউটিউবে মার্কেটিং করছেন। আর ইউটিউবের মাধ্যমে আপনারা যে কোম্পানির প্রোডাক্ট গুলো বিক্রি করবেন। সেগুলো থেকে যে লভ্যাংশ আসবে, তারপরও টাকায় আপনি পাবেন। তাই বেশি টাকা ইনকাম করার জন্য আপনারা ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবসা শুরু করে দিন। 

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট ব্যবসার আইডিয়া

বর্তমান সময়ে বিনা পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।বিশেষ করে যারা দূরে বসবাস করে কোন প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজ করেন তাদেরকে ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট বলা হয়। একজন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারে। সে কাজগুলোর মধ্যে আমি আপনাকে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করছি। যেমন- মিটিং এর ব্যবস্থা, ফাইল তৈরি করা, ক্লায়েন্টদের সাথে মিট করা, ইমেইল চেক করা এবং ইমেইল পাঠানো ইত্যাদি। আপনি যদি একজন দক্ষ ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হয়ে থাকেন তবে আপনারা চাইলে অনেক বেশি পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন। বিনা পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা হিসেবে। 

আবার আপনি যদি অতিরিক্ত দক্ষ হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়ে আপনি একটি ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট সাপ্লাই এজেন্সিও স্থাপন করতে পারেন। আপনার এজেন্সির কাজ হবে নির্দিষ্ট সি এর বিনিময়ে ক্লায়েন্টের ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট সাপ্লাই প্রদান করা। তাই বিনা পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা হিসেবে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ বেছে নিতে পারেন। বিনা পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা

অনলাইন কনসালটেন্ট ব্যবসার আইডিয়া

আপনি যদি বিনা পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনারা অনলাইন কনসালট্যান্ট হিসেবে কাজ করতে পারেন। বর্তমান সময়ে অনেকে অনলাইনে বিভিন্ন প্রকার বিষয়ের উপর পরামর্শ প্রদান করে ভালো পরিমাণের অর্থ উপার্জন করছেন। আপনারা যে বিষয়ে দক্ষ, সে বিষয়ে অনলাইনে পরামর্শ দেওয়া শুরু করতে পারেন। এখানে পরামর্শ দেয়ার জন্য যে কোন বিষয় হতে পারে যেমন- ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে পরামর্শ, ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিষয়ে পরামর্শ, খেলাধুলা বিষয়ে পরামর্শ, শরীর চর্চা বিষয়ে পরামর্শ, বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের পরামর্শ ইত্যাদি। 

প্রথম অবস্থায় আপনাকে ফ্রিতে লোকদেরকে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করতে হবে। এরকম ভাবে আপনি যখন কিছুদিন বিনামূল্যে পরামর্শ গুলো প্রদান করবেন তখন অনেক মানুষ আপনার ফ্যান হয়ে যাবে। সে সময় আপনারা কনসালটেন্ট ব্যবসা শুরু করে দিতে পারবেন। আপনি যখন কাউকে কোন বিষয়ে পরামর্শ দিবেন তখন টাকার বিনিময়ে আপনার গ্রাহকের পরামর্শ প্রদান করবেন। অনলাইন কনসালটেন্ট ব্যবসার জন্য নিজের একটি ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট থাকলে ভালো হবে। আর যদি না থাকে সমস্যা নেই আপনারা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন পেজের বা গ্রুপ তৈরি করে সুন্দরভাবে নিজের গ্রাহকদের পরামর্শ প্রদান করে। ভালো পরিমানে ইনকাম করতে পারবেন নিজের ঘরে বসেই। আর এই ব্যবসা করার জন্য আপনাকে কোন পুঁজি খাটাতে হবে না। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পরিচালনা ব্যবসার আইডিয়া

বিনা পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা হিসেবে আপনারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পরিচালনা করে, অনেক ভালো পরিমাণের টাকা উপার্জন করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে অনেক মানুষ এবং প্রতিষ্ঠান তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পরিচালনা করার জন্য দক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগ দিয়ে থাকেন। তাই আপনারা যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পরিচালনায় দক্ষ আছেন তারা বিভিন্ন ব্যক্তির বা প্রতিষ্ঠানের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পরিচালনা করে, বিনা পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। আবার আপনি চাইলে কোন প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী হিসেবে কাজ না করতে চাইলে, নিজের বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে একটি এজেন্সি স্থাপন করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে আপনাদের কাউকে নিয়োগ করার প্রয়োজন হবে না আপনারা নিজেরাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পরিচালনার কাজ সম্পন্ন করবেন। আর এই কাজ করার জন্য নিজের ঘরে বসে বিভিন্ন ক্লায়েন্টের দেওয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পরিচালনা করতে পারবেন। টাকার বিনিময়ে। আপনি এ বিষয় নিয়ে কাজ করলে ক্লায়েন্টের অভাব হবে না। বিনা পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা

ট্রেনিং সেন্টার ব্যবসার আইডিয়া

আপনাদের নিজের ঘরের কোন একটি রুমকে ট্রেনিং সেন্টারে পরিণত করতে পারেন। যেখানে আপনি যে বিষয়ে দক্ষতা সম্পন্ন সে বিষয়ে বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের ট্রেনিং করাতে পারেন। মনে করুন আপনি একজন ফ্যাশন ডিজাইনার। সে ক্ষেত্রে আপনি চাইলে আপনার ঘরের একটি রুমে যারা ফ্যাশন ডিজাইনিং শিখতে চাই তাদেরকে ডিজাইনিং এর কাজ শিখাতে পারেন। 

আবার আপনারা যারা শরীরচর্জায় পারদর্শী তারা চাইলে শরীরচর্চা বিষয়ক টাকার বিনিময়ে কোর্স করাতে পারবেন।বর্তমানে সকলেই কিন্তু শারীরিক চর্চা করতে আগ্রহী। কারণ প্রতিটি মানুষের ফিটনেস থাকা অনেকটাই জরুরী। তাই আপনার মধ্যে যদি এই ধরনের প্রতিভা থাকে তাহলে বিনা পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা হিসেবে ট্রেনিং সেন্টার ব্যবসা বেছে নিতে পারেন।

আবাসিক হোটেল ব্যবসার আইডিয়া

আপনার এলাকায় যদি কোন গুরুত্বপূর্ণ জায়গা বা পর্যটন স্পট থাকে তাহলে আপনার জন্য সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে বিনা পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসার বিষয়টি। আপনি চাইলে নিজের বাসায় পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা করতে পারেন। আপনি যদি পর্যটকদের ভালোভাবে আপ্যায়ন করতে পারেন তবে আপনারা এক রুমের হোটেলে অনেক পর্যটককে থাকতে দিতে পারবেন। তো পর্যটকরা এসে যদি আপনার সেই আবাসিক হোটেলে রাত্রে যাপন করে তার বিনিময়ে আপনারা ভালো টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার কোন প্রকার টাকা খরচ করার প্রয়োজন হবে না। তারা যদি খাওয়া দাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে তাদেরকে টাকার বিনিময়ে প্রয়োজনীয় খাবার বিক্রি করতে পারবেন।

পর্যটকরা যদি আপনার আবাসিক হোটেলে অবস্থান করে তাহলে থাকার পাশাপাশি খাওয়ার যে বিল রয়েছে। সে হিসেবে আপনারা ভাল টাকা উপার্জন করতে পারবেন। তাই বিনা ইনভেস্টে লাভজনক ব্যবসা হিসেবে, আবাসিক হোটেল ব্যবসার আইডিয়া বেছে নিতে পারেন। 

গ্যারেজ ব্যবসা আইডিয়া

অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসার জন্য আপনারা বেছে নিতে পারেন গ্যারেজ ব্যবসা। এটি এক ধরনের বিনা পুঁজিতে ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে প্রমাণিত। ঢাকা শহর গুলোর মত বড় বড় শহরে যাদের বাসা রয়েছে তারা চাইলেই এই ব্যবসা গুলো শুরু করতে পারবেন। 

কিন্তু এই গ্যারেজ ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনার বাসার নিচতলায় অবশ্যই খালি জায়গায় ব্যবসা স্থাপন করতে হবে।যাতে করে যে কোন সময় মানুষের প্রয়োজনে গ্যারেজে যোগাযোগ করতে পারে। তাই বিনা পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা হিসেবে গ্যারেজ ব্যবসা শুরু করুন।

ঘটক ব্যবসা আইডিয়া

বিনা পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসার জনপ্রিয় একটি নাম হলো- ঘটক ব্যবসা। ঘটক ব্যাবসার নামটি শুনে আপনাদের কাছে একটু অন্য রকম লাগতে পারে। আপনাদের মনে চিন্তা হতে পারে এ ব্যবসা আমার পক্ষে করা সম্ভব হবে না। কারণ এই ব্যবসাটি মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পাত্র-পাত্রী দেখতে হয়। 

তো আপনি যদি এই ধরনের কথা চিন্তা করেন তাহলে আপনি সেই আদম যুগের মানুষ হিসেবে বসবাস করছেন। বর্তমান সময়ে ঘটক ব্যবসা করার জন্য আর মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পাত্র-পাত্রী দেখতে হয় না। কারণ যুগ পরিবর্তন হয়ে গেছে। এখন অনলাইন যোগ। আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে পাত্র-পাত্রী দেখে বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করতে পারবেন। 

ঘটক ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনার কোন পুঁজি প্রয়োজন হবে না। আপনারা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক পেজ, ফেসবুক গ্রুপ এবং বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ওয়েবসাইট ব্যবহার করে এই ঘটক ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। বিবাহ আগ্রহী পাত্র-পাত্রীরা, আপনার তৈরি করা ফেসবুক পেজ, ফেসবুক গ্রুপ এবং ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে বিস্তারিত জানতে পারবে। তার জন্য আপনি যে পেজ, গ্রুপ এবং ওয়েবসাইট তৈরি করেন না কেন সেখানে পাত্র-পাত্রী সন্ধান দেওয়ার জন্য ফির বিনিময়ে পাত্র পাত্রের জীবন বৃত্তান্ত দেখাবেন। এতে করে আপনি প্রতিদিন ইনকাম করতে পারবেন কোন প্রকার টাকা খরচ করা।

কন্টেন্ট রাইটিং এজেন্সি ব্যবসার আইডিয়া

বর্তমান সময়ে জনপ্রিয় ব্যবসার নাম হচ্ছে কনটেন্ট রাইটিং। আর এই ব্যবসাটি শুরু করার জন্য আপনার কোন প্রকার পূঁজ ‘র দরকার নেই। আপনি যদি লেখালেখি করতে দক্ষ থাকেন। 

তাহলে নিজের ঘরে বসে এমন অনেক ধরনের এজেন্সি চালু করতে পারবেন। তাই আপনারা যারা কনটেন্ট রাইটার রয়েছেন। তারা  কনটেন্ট রাইটারের সাথে ভালো যোগাযোগ থাকতে হবে। আপনি তাদের সাথে ব্যবসা পরিচালনা চালিয়ে যেতে পারবেন। 

ই-বুক বিক্রি’র ব্যবসা আইডিয়া

বর্তমানে ডিজিটাল যুগে কাগজের বইয়ের পাশাপাশি e-book এর ব্যবহার অনেক গুন বেড়ে গেছে। তাই বর্তমানে এখন কাগজের বই না পড়ে মানুষ ইবুক পড়তে আগ্রহী। আপনি যদি একজন ভালো লেখক হয়ে থাকেন তাহলে আপনারা এ বুক ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। ই-বুক লেখা অনেক সহজ ব্যাপার। 

আপনারা কম্পিউটারে মাইক্রোসফট অফিস ওয়ার্ডে যে কোন বিষয়ে লেখালেখি করে সেটিকে পিডিএফ ফাইলে তৈরি করতে পারবেন। আর পিডিএফ ফাইল তৈরি করে সেগুলো আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজেই বিক্রি করতে পারবেন। আর এই ব্যবসা করার জন্য আপনার কোন পুঁজি ব্যবহার করতে হবে না। 

ওয়েবসাইট তৈরির ব্যবসা আইডিয়া 

বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বে বিলিয়ন বিলিয়ন ওয়েবসাইট রয়েছে। আর প্রতিদিন ওয়েবসাইট তৈরীর সংখ্যা দ্রুত গতিতে বেড়ে যাচ্ছে। সারা পৃথিবীর পাশাপাশি আমাদের বাংলাদেশের ওয়েবসাইট তৈরির হিড়িক পড়ে গেছে প্রায় কয়েক বছর থেকে। 

ছোট থেকে বড় সকল প্রতিষ্ঠানের জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করে নিচ্ছেন। শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠান নয় ব্যক্তি পর্যায়েও এখন ওয়েবসাইট তৈরি করা শুরু হয়ে গেছে। তাই আপনি যদি বিনা পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা খুঁজেন? তাহলে সর্বশেষ ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে আপনাকে বলব ওয়েবসাইট তৈরির ব্যবসা শুরু করে দিন। 

এই ওয়েবসাইট ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনার কোন প্রকার টাকা খরচ করতে হবে না। আপনার নিজের বাড়িতে বসে একটি কম্পিউটার বা মোবাইল ব্যবহার করে ওয়েবসাইট তৈরি করার কার সম্পন্ন করতে পারবেন। এরকম ভাবে আপনার যদি একটি প্রোফাইল থাকে তবে সেই প্রোফাইলে ওয়েবসাইট ডেভেলপার হিসেবে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ক্লায়েন্টদের বিভিন্ন ক্যাটাগরির ওয়েবসাইট তৈরি এবং ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট করে দিতে পারবেন। 

সর্বোপরি আমাদের কথাঃ

তো আপনারা উপরে উক্ত আলোচনায় বিনা পুঁজিতে যে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে জানতে পারলেন। সেগুলো করার জন্য আপনাদের পুঁজি খাটানোর প্রয়োজন নেই। তবে আর্টিকেলের শুরুতে আপনাকে বলেছিলাম, এমন কোন ব্যবসা নেই যেগুলোতে, একেবারে পুজি ছাড়া ব্যবসা শুরু করা যায়। সেই কথা কিন্তু মিথ্যা নয়। 

তো আপনি উপরোক্ত আলোচনায় যে, ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে জানতে পারলেন, এ ব্যবসা গুলো শুরু করতে কিন্তু আপনার কিছু টাকা প্রথম অবস্থায় লাগবে। কোথায় লাগবে, কেন লাগবে, বলছি। বিশেষ করে আপনি যদি অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা গুলো করেন সে ক্ষেত্রে আপনার ইন্টারনেট খরচ হবে। আর যদি আপনি অফলাইনে ব্যবসাগুলো করেন তবে ব্যবসা শুরু করার সময় আনুষঙ্গিক কিছু খরচ হবে। 

কিন্তু এই খরচ গুলো কিন্তু আহামরি কোন খরচ নয়। এগুলো আপনার সাধ্যের মধ্যে থাকে, যা বিনা ইনভেস্টের মধ্যেই পড়ে। এখন উপরে উল্লেখিত যেকোনো একটি ব্যবসার আইডিয়া বেঁছে নিয়ে, টাকা উপার্জন শুরু করে দিন। ধন্যবাদ

adx ar

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

adx ar
Comments

You must be logged in to post a comment.

adx ar
POPULAR ARTICLES
About Author

CEO & Founder