পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায় । [সেরা ৩০ টি উপায়]

adx Ar
Adx AR

পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায়

শ্তভেচ্ছা সবাইকে, প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা। আশা করি তোমরা ভালো আছো। অনেক ভালো পড়া লেখার পরও ভাবছো কেমন রেজাল্ট হবে না হবে? আজকে তোমাদের জন্য পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট ভাল করার বেশ কিছু টিপস এন্ড ট্রিকস শেয়ার করব সম্পুর্ন এই লেখাটিতে। 

আমরা শেয়ার করব যেমন ভালো ছাত্রদের জন্য তেমনি দূর্বল এবং পিছিয়ে পড়া ছাত্রদের জন্য ও রয়েছে পরীক্ষায় পাশ করা গোপন হ্যাকস। আশা করছি এই লেখাটি কোন ধরনের ছাত্রকেই হতাশ করবে না। তোমরা এই গোপন টিপস ফলো করলে তোমাদের ভালো রেজাল্ট নিশ্চিত বলে আশা রাখি।

পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার পূর্বে যেই গোপন ট্রিকস গুলো অনুসরন করলে আশা করি তোমাদের জন্য ভালো রেজাল্ট বা সিজিপিএ ৫.০০ পাওয়া অসম্ভব কিছু হবে না। আরও বেশ কিছু বিষয় শেয়ার করব যেগুলো তোমাকে পরীক্ষার হলেও অনেক সুবিধা দিবে বলে মনে করি । সঙ্গেই থাকুন এবং শেষ করুন আমাদের এই লেখাটি। আশা করি আপনি ভালো ছাত্র না হলে ও তোমার জন্য অন্তত পাশ করা কেউ ঠেকাতে পারবে না।পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায়

পরীক্ষার আগের প্রস্তুতি

 

পরীক্ষা আসার ঠিক আগেভাগেই প্রস্তুতি গ্রহন করা বুদ্ধিমান ছাত্র্রের কাজ। কেননা খারাপ ছাত্ররা ভাবতে থাকে আর অলস সময় কাটায় এই বলে যে পরীক্ষার অনেক সময় বাকি আছে। সময় হলে পড়ে নিব। আসলে এটা একটা ভুল ধারনা আগে ভাগে প্রস্তুতি নিতে না পারলে পরে অনেক ভুল হবার সম্ভাবনা থেকে যায় । 

 

সেজন্য আশা করব তোমরা যে সম্স্ত ছাত্রবৃন্দ ভালো রেজাল্ট করতে চাও বা ইচ্ছুক তোমারা আগেই সমস্ত প্রস্তুতি সেরে রাখবে ।তাহলে পরে ভুল হবার চান্স কমে যাবে। তারপর ও নিচে আমরা বেশ কিছু টিপস শেয়ার করব যা পরীক্ষার আগে আপনাকে অনেক সহায়তা করবে। চলো তাহলে শেয়ার করি বেশ কিছু পরীক্ষা পূর্ব প্রস্তুতির টিপস:

 

১. বাস্তব মূখী পরিকল্পনা তৈরি করা।

২. রুটিন তৈরি করা

৩. রুমে পড়ার পরিবেশ তৈরি করা

৪. বই ভাগ করে নেওয়া: 

৫. পরীক্ষা ভীতি দূর করা

৬. নিয়মিত লেখার চেস্টা করা

৭. গ্র্রুপ তৈরি করে পড়ার চেষ্টা:

৮. নোট তেরি করা

৯. রিডিং পড়া নিয়মিত

১০. প্রশ্ন এবং পড়ার বিশেষ স্থান চিহ্নিত করে রাখা

১১.শিক্ষকদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা

১২. প্রদিদিনের পড়া প্রতিদিন শেষ করা

১৩. অলসতা দূর করা

১৪. সময় অপচয় না করা

১৫. খারাপ বন্ধৃ পরিহার করা

১৬. খেলাধুলা ও শরীর চর্চায় মনোযোগ দেওয়া

১৭. নিয়মিত খাওয়া দাওয়া করা

১৮. প্রতিদিন নিজের আত্নবিশ্বাস ধরে রাখার চেষ্টা করা

১৯. ভালো রেজার্ট করার মন মানসিকতা তৈরি করা

২০. প্রচুর অধ্যয়ন করা

 

 বাস্তব মূখী পরিকল্পনা তৈরি করা:

 

পরীক্ষার সময় আগত হবার ঠিক আগ মুহুর্তে বাস্তবমূখী একটি পরিচ্ছন্ন পরিকল্পনা তৈরি করা। যেভাবে আগালে আপনি আপনার সিলেবাস শেষ করতে পারবেন। কে কিভাবে করছে সেটার দিকে না তাকিয়ে নিজের মত একটি সুন্দর পরিকল্পনা তৈরি করুন দেখবেন আপনার প্রিপারেশন সুন্দর ভাবে শেষ হয়ে যাব। মনিষিরা বলে গেছেন যে, সঠিক পরিকল্পনা করা মানে কাজের অর্ধেক সম্পূর্ন করা। 

 

পরীক্ষা ভীতি দূর করা:

 

ভালো রেজাল্ট করতে যে সমস্যাটি সবাই ফেস করে তা হলো পরীক্ষার আগেই পরীক্ষা ভীতী মনে বাসা বাধে। এটি খুবই একটি খারাপ বিষয়। ছাত্র জীবনে কেন পরীক্ষা ভীতি থাকবে । পরীক্ষা ছাত্র জীবনের একটি গুরুত্ব পূর্ন অংশ। সেই হিসেবে একজন আদর্শ ছাত্রের মধ্যে পরীক্ষা ভিতি থাকা উচিৎ নয়। 

মনে রাখবেন পরীক্ষার হলে শিক্ষকরা আপনাদেরকে কোনভাবে হয়রানি করবে না। যদি আপনি কোন কাজে তাদের বাধা না দেন। আপনি সুন্দর ভাবে পরীক্ষার হলে পরীক্ষা দিলে, আশা করি হল পরিদর্শক আপনাকে সহযোগতািই করবে । আশা করি তোমারা কোন ধরনের ভয় ভীত না রেখে সুন্দর ভাবে হলে যাবে এবং পরীক্ষা দিয়ে আসবে তোমদের কোন ঝামেলাতে পড়তে হবে না।পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায়

 

রুটিন তৈরি করা:

 

আপনি কিভাবে আপনার সিলেবাস শেষ করবেন সেটার, একটি পূনাঙ্গ রুটিন তৈরি করুন। প্রতিদিন রুটিন মাফিক কাজ সম্পূর্ন করুন। দেখবেন ঠিক পরীক্ষার আগেই আপনার সিলেবাস শেষ হয়ে গেছে। রুটিন করার সময় মনে রাখবেন কখন কি করবেন তার যেন বিস্তারিত থাকে রুটিনে।

যেমন, কখন খাবেন, কখন পড়বেন,ঘুমাবেন, ঘুরবেন, আরাম করবেন, বন্ধুদের সাথে সময় দিবেন, খেলাধুলা করবেন সমস্ত কিছু রুটিনে রাখুন। রুটিনটি ঠিক আপনার দৃষ্টি সর্বদা যাবে এমন স্থানে রাখার চেষ্টা করুন। ছাত্র জীবনে প্রত্যেকটি কাজেরই গুরুত্ব আছে।

 

রুমে পড়ার পরিবেশ তৈরি করা:

 

পড়ার ঘরের পরিবেশ ঠিক রাখা ও ভালো রেজাল্টের জন্য গুরুত্ব পূর্ন একটি বিষয়। মাথায় রাখবেন অগোছোলা কোন কিছু ভালো হয়না। তাই সর্বদা আপনার পড়ার বই গুলো সাজিয়ে গুছিয়ে রাখবেন। বইগুলো কখন কোনটা পড়বেন সেগুলো সামনে রাখবেন। ঘরে যেন বাইরের শব্দ খুব বেশি না আসে সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। রুমটি যেন যে কোন ছাত্রের জন্য আদর্শ রুম হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। সুন্দর পরিবেশে সব কাজই ভালো হয় এটি সর্বদা মনে রাখবেন। 

 

বই ভাগ করে নেওয়া :

 

বই ভাগ করে পড়লে আমার কাছে মনে হয় দ্রুত পড়া শেষ হয়। সেটি সবার ক্ষেত্রে না ও হতে পারে। তবে দেখবেন আপনি কোনদিন কোন বই পড়বেন এভাবে ভাগ করে নিলে আপনার পড়তে ভালো লাগবে। যেমন আমি এই সপ্তাহে বাংলা, ও ইংরেজী বই শেষ করব। সামনে সপ্তাহে আরও দুটি, পরের সপ্তাহে আরও দুটি এইভাবে ভাগ করে নিবেন। আশা করি পরিক্ষায় ভালো ফলাফল আসবে।

 

নিয়মিত লেখার চেস্টা করা:

 

পড়ার পাশাপাশি নিয়মিত লিখার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। কেননা পড়ার চেয়ে লিখলে বেশি মনে থাকে। যতক্ষনই পড়ুন না কেন পাশাপাশি না দেখে নিয়মিত লিখার চেষ্টা করবেন। দেখবেন পরীক্ষার হলে কোন কিছু ভুলে গেলে সেটা সহজেই মনে হয়ে যাবে। সেজন্য প্রচুর পরিমানে পড়ার পাশাপাশি লিখার অভ্যাস এখনই গড়ে তুলুন। এতে যেমন আপনার লিখার গতি বৃদ্ধি পাবে পাশাপাশি মুখস্ত ও দ্রুত হবে।

 

গ্র্রুপ তৈরি করে পড়ার চেষ্টা:

 

গ্রুপ তৈরি করে পড়লে খুব কাজে আসে পড়াটি। আপনার কাছের বন্ধুদের সাথে একটি ছোট গ্রুপ তৈরি করুন এবং ছোট প্রশ্নগুলো নিয়মিত এক অন্যকে ধরে ধরে মুখস্ত করার চেষ্টা করুন। দেখবেন দ্রুত মুখস্ত হবে এবং ভুলবেন কম। তবে খেয়াল রাখবেন গুপে সদস্যের সংখ্যা যেন বেশি না হয়। সব্বোর্চ 2 থেকে 3 জনের গ্রুপ তৈরি করুন। বেশি সদস্য হলে পড়ার চেযে খারাপ চিন্তা বেশি চলে আসতে পারে ফলে, ভালোর চেয়ে খারাপ হওয়ার শংকা বেশি থাকে।

 

নোট তেরি করা অভ্যাস:

 

বিশেষ নোট আপনাকে বিশেষ রেজাল্টের সন্ধান দিবে । সেহেতু যখনই পড়বেন গুরুত্ব পূর্ন বিষয়ের নোট করবেন সর্বদা। কোনটা আপনার বেশি গুরুত্বপূর্ন মনে হয়েছে সেটি লিখে রাখবেন এবং পরবতীর্তে সেটি আবার পড়বেন। তাহলে আপনার বারবার গুরুত্বপূর্ন বিষয়গুলো খুজে বের করতে হবে না্, ফলে আপনার পড়ার গতি বৃদ্ধি পাবে। নোটটি খুব ভালোভাবে সংরক্ষন করবেন্ । নিয়মিত আপডেট ও রাখতে হবে নোটটি ভালো রেজাল্ট করা ছাত্ররা সর্বদা নোটে গুরুত্বপূর্ন বিষয়গুলো সংরক্ষন করে।

রিডিং পড়া নিয়মিত করন

মুখস্ত করার পাশাপাশি নিয়মিত মূল বই রিডিং পড়া ও ভালো রেজাল্ট করতে আপনাকে সাহায্য করবে। কখন ও যদি কোন প্রশ্ন আপনার কমন না পড়ে সেক্ষেত্রে সেই রিডিং পড়ার কারনে সহজেই আপনি প্র্রশ্নের উত্তর লিখতে পারবেন। সেজন্য চেষ্টা করবেন নিয়মিত মূল বই রিডিং পড়ে কয়েকবার শেষ করতে। পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায়

 

প্রশ্ন এবং বইয়ের বিশেষ স্থান চিহ্নিত করে রাখা:

 

বিশেষ গুরুত্বপূনৃ প্রশ্ন এবং মূল বইয়ের বিশেষ স্থানগুলো মার্কার কলম বা অন্য কোন ভাবে চিহ্নিত করে রাখা ও গুরুত্বপূনৃ বিষয় যা আপনাকে ভালো রেজাল্টে সহায়তা করবে। বারবার যখন পড়তে যাবেন দেখবেন চিহ্নিত জায়গাগুলো সহজে আপনার চোখে পড়বে। ফলে আপনার সহজে পড়া হয়ে যাবে। সর্বদা চেষ্টা করবেন সমস্ত বিষয় মার্ক করে রাখতে। 

 

শিক্ষকদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা:

 

শিক্ষকদের সাথে সর্বদা সদাচারন এবং ভালো ব্যবহার ও বিশেষ ভাবে গুরুত্ব রাখে ভালো রেজাল্টের ক্ষেত্রে। যে কোন বিষয় বুঝতে সমস্যা হলে শিক্ষকদের সরনাপন্ন হবেন। তারা আপনাকে সহজ সমাধান করে দিবেন। যেহেতু শিক্ষকদের অভিঙ্গতা বেশি থাকে । সেহেতু আপনাকে বিশেষ সময় বিশেষ কিছু টিপস ও দিতে পারে। খেয়াল করে দেখবেন যেসব ছাত্ররা ভালো রেজাল্ট করে তাদের সাথে শিক্ষকদের আন্তরিকতা ভালো থাকে। সেজন্য সর্বদা শিক্ষকদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করবেন। আপনারই লাভ হবে কোন ক্ষতি হবে না ।

 

প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন শেষ করা

 

খেয়াল রাখতে হবে যেন প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন শেষ করা যায়। কোন সময় বলা যাবে না এখন না পরে করে নেব। তাহলে আপনি নিজেই পিছিয়ে পড়লেন। আপনাকে সময়ের কাজ সময়ের মধ্যেই শেষ করতে হবে। নাহলে এক সময় আপনি প্যাচে পড়ে যাবেন পরে আর কভার করতে পারবেন না। ছাত্র থেকে শ্তরু করে দুনিয়াতে যেসব ব্যক্তি সফল হয়েছে তাঁরা সবাই সময়ের কাজ সময়ে করতেন। আপনাকে যত কষ্টই হোক সময়ের কাজ সময়েই শেষ করার জন্য সচেষ্ট থাকতে হবে। 

 

অলসতা দূর করা

 

ছাত্র জীবনে অলসতা আসা ঠিক ভালো নই । এই অলসতার কারনে অনেক ভালো ছাত্র ও শেষ পর্যন্ত তাদের কাংখিত ফলাফল করতে পারে না। অনান্য বিষয়ের সাথে , অলসতা দূর করে নিয়মিত পড়াও অনেক বিশেষ গুরুত্ব বহন করে । ভালো ফলাফলের ক্ষেত্রে এটিও অত্যাবর্শকীয় একটি বিষয় বলে বিবেচীত হয়।  

 

সময় অপচয় না করা:

 

কখনো ভাবা যাবে না অনেক সময় আছে। তাহলে আপনার পরিকল্পনা শেষ হয়ে যাবে সেখানেই । সময়ের সঠিক ব্যবহার আপনাকে শ্তধু পরীক্ষায় নয় জীবনের সর্ব ক্ষেত্রে উন্নতির শিখরে পোছাইয়া দিবে। দেখবেন যদি ভাবেন পরবর্তী সময়ে কভার করবেন, ওই সময়ে ও আপনার নতুন কাজ যুক্ত হয়ে যাবে। ফলে আপনার কাজটি আর সমাধান হবে না। ছাত্র জীবনে কখনোই সময় অপচয় করবেন না। ভালো রেজাল্ট তাহলে অবশ্যই আপনাকে ধরা দেবে।

 

খারাপ বন্ধু পরিহার করা

 

ভালো ছাত্র বা ভাল রেজাল্ট যেটাই চান না কেন খারাপ বা দুষ্টু বন্ধু আপনাকে পরিহার করতেই হবে। “ সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ কথাটি কিন্তু মিথ্যে নয়। আপনি যদি খারাপ সঙ্গ পরিবর্তন করতে না পারেন ভালো রেজাল্ট আশা করা আপনার জন্য বোকামী বৈ কিছু নয়। চেষ্টা করবেন সর্বদা আপনার চেয়ে ভালো কোন  ছাত্রের সাথে সর্বদা সম্পর্ক রাখতে। খারাপ বন্ধু আপনাকে আপনার কাংখিত লক্ষে পোছার অন্তরায় হয়ে দাড়াবে। যদি এখন ও আপনার কোন খারাপ বন্ধু থাকে তাকে পরিহার কার চেষ্টা করুন।

 

খেলাধুলা ও শরীর চর্চায় মনোযোগ দেওয়া:

 

পড়া লেখার পাশাপাশি নিয়মিত খেলাধুলা করার চেষ্টা করুন এতে যেমন খারাপ বন্ধু কমে যাবে। সাথে সাথে শরির ও মন উভয় ভালো থাকবে। ফলে পড়ালেখায় আপনার মনোযোগ বৃদ্ধি পাবে। নিয়মিত বিভিন্ন খেলাধুলায় অংশগ্রহন করা ও ছাত্র জীবনে জরুরি।

 

নিয়মিত খাওয়া দাওয়া করা

 

পড়ালেখা, খেলাধুলা সহ নিয়মিত খাওয়া দাওয়া করা ও গুরুত্ব পূর্ন একটি বিষয়। ঠিক মত খাওয়া দাওয়া না করলে আপনি অসুস্থ হবেন ফলে আপনার প্রিপারেশনে ব্যাঘাত ঘটবে তাই নিয়মিত খাওয়া দাওয়ার দিকে বিশেষণ নজর রাখা ও খুব জরুরি একটি বিষয়। নিয়মিত ডিম, দুধ, কলা, মাছ, মাংস, সব্জি সহ বিভিন্ন ভিটামিন যুক্ত খাবার প্রতিনিয়ত খাবার মেনুতে রাখতে চেষ্টা করুন।

 

প্রতিদিন নিজের আত্নবিশ্বাস ধরে রাখার চেষ্টা করা

 

আত্ববিশ্বাস যেন নস্ট না হয় সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখবেন। কখনো ভাববেন না আপনার দ্বারা হবে না। আপনার দ্বারাই সম্ভব মানুষ পারলে আপনিও পারবেন। অন্য মানুষের যা যা আছে আপনার ও তা তা আছে কিষের ভয়। ভয়কে জয় করতে পারলেই আপনি পরীক্ষা সহ জবিনের সর্ব ক্ষেত্রে ভালো রেজাল্ট করতে পারবেন। 

ভালো রেজার্ল্ট করার মন মানসিকতা তৈরি করা

 

আমি ভালো ফলাফল করব সর্বদা এই বিশ্বাস নিজের মনে রাখতে হবে, তবেই ভালো রেজাল্ট করা সম্ভব। নইতো সম্ভব হবে না। 

 

পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায় - পরীক্ষার হলে করনীয়:

  1. পরীক্ষা পরিদশৃকের সাথে আচরন:
  2. মাথা ঠান্ডা রাখা:
  3. নির্ভয়ে শ্তরু করা
  4. পজিটিভ মেন্টালিটি মাথায় রাখা:
  5. শতভাগ লিখে শেষ করা
  6. সময ভাগ করে লিখা আরম্ভ করা
  7. তাড়া হুড়া না করা
  8. রিভািইস দিয়ে শেষ করা

১. পরীক্ষা পরিদর্শকের সাথে আচরন:

পরীক্ষার হলে সর্বদা পরীক্ষা পরিদর্শকের সাথে সদাচারন করা খুবই জরুরি একটি বিষয়। 

২. মাথা ঠান্ডা রাখা:

সর্বদা মাথা ঠান্ডা রেখে পরীক্ষা দেওয়া কোন দুশ্চিন্তা যেন মনে না আসে সেদিকে লক্ষ্য রাখা।

৩. নির্ভয়ে শ্তরু করা:

ভয় ডর হীন মনে লিখা আরম্ভ ও শেষ করা। আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে পরীক্ষা দেন সেভাবেই পরীক্ষা দিতে পারবেন সেহেতু ভয়ের কোন কারন নেই।

৪. পজিটিভ মেন্টালিটি মাথায় রাখা:

সর্বদা পজিটিভ থাকার চেষ্টা করা। কোন নেগেটিভ কিছুকে মাথায় আসতে না দেওয়া ও খুব জরুরি।

৫. শতভাগ লিখে শেষ করা:

সময় ম্যানেজ করে অবশ্যই ১০০ ভাগ লিখা শেষ করা খুব জরুরি বিষয়। শতভাগ লিখে আসার জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকতে হবে। কোন প্রশ্ন যেন সময়ের অভাবে ছাড়া না পড়ে যায়।

৬. সময় ভাগ করে লিখা আরম্ভ করা:

কোন প্রশ্ন কত সময়ের মধ্যে শেষ করবেন সেটা ট্র্যাক করে রাখাও জরুরি।

৭. তাড়া হুড়া না করা:

পরীক্ষার হলে প্রায় ছাত্র কমন একটি ভুল করে সেটা হলো তাড়াহুড়া করে লিখতে গিয়ে ভুল করে ফেলা। এটি কখনোই করা যাবে না। ধিরে সুস্থে শতভাগ লিখে শেষ করতে না পারলে ভালো রেজাল্ট আশা করা যায় না।

৮. রিভাইস দিয়ে শেষ করা:

রিভাইস বা পুনরায় চেক অত্যান্ত গুরুত্ব পূর্ন বিষয়।কেননা কোথাও কোন ভুল হয়েছে কিনা সেটা সহজেই ধরতে পারা য়ায়। রিভাইস দেওয়ার জন্য ও আপনাকে কিছু সময় বরাদ্দ রাখতে হবে।  সম্পুর্ন খাতা পুনরায় চেক করা যেন কোথাও কোন ভূল হয়ে না যায়। যদি কোন ভুল থাকে সাথে সাথেই সংশোধন করে নিতে হবে।

উপসংহার:

 

পরিশেষে বলবো ভালো রেজাল্ট করার সুনির্দিষ্ট কোন নিয়ম কানুন নেই যেগুলো উপরে তুলে ধরলাম এই গুলো আমার নিজের অভিঙ্গতা মাত্র। আমি ও আমার ছাত্র জীবনে এই নিয়ম গুলো ফলো করার চেষ্টা করেছি ভালো ফলও পেয়েছি। তবে আশা করি আপনি এই নিয়ম ফলো করলে অবশ্যই ভালো রেজাল্ট করতে সমত্ত হবেন।

শ্তধু একটু শ্রম ও কঠোর অধ্যবসায় ভালো রেজাল্টের জন্য বিশেষ ভাবে জরুরি। আশা করি আজকের এই লিখাটি আপনার ছাত্র জীবনে কাজে লাগবে। যদি আপনার লিখাটি ভালো লাগে তবে শেয়ার করে বন্ধুদের জানার সুযোগ করে দেবার অনুরোধ। পাশাপাশি এই লিখা সর্ম্পকেৃ আপনার যদি কোন মতামত থাকে কমেন্ট জানাতে পারেন। আমরা আপনার কমেন্ট গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করব। ধন্যবাদ 

adx ar

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

adx ar
Comments

You must be logged in to post a comment.

adx ar
POPULAR ARTICLES
About Author

CEO & Founder