আপনি কি নজর-কাড়া ফর্সা চেহারা (Face) চান ?
নজর-কাড়া ফর্সা চেহারা
আপনি কি একজন মেয়ে ? আপনি কি নজর-কাড়া ফর্সা Face (ফেস) চান ?
দুইভাবে আপনি এ কাজটি করতে পারেন-
১. একটি হলো ওষুধ বা প্রসাধনী ছাড়া
২. অপরটি হল ঔষধ বা প্রসাধনী দ্বারা
১. ওষুধ বা প্রসাধনী ছাড়া ( সহজলভ্য):-
(ক) প্রখর রোদে না যাওয়া । প্রয়োজনে গেলেও যাতে রোদের তাপ, উজ্জ্বল রশ্মি ও ক্ষতিকর রশ্মি চেহারার ওপর না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখা। কোনো কারণে চেহারাতে বেশি তাপ লাগলে বা রোদ লাগলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ মন্ডল ধুয়ে নেওয়া দরকার ।
নজর-কাড়া ফর্সা চেহারা
(খ) জীবন বলতেই চিন্তা ও টেনশন থাকতে পারে । কিন্তু নিজের চেহারার কথা ভেবে এবং নিজের প্রচেষ্টা ও সৃষ্টিকর্তার ওপর ভরসা রেখে এবং পৃথিবীটা একটি জীবনযুদ্ধের যুদ্ধক্ষেত্র, তাই নেগেটিভ সবকিছু বাদ দিয়ে পজিটিভ ভাবে চিন্তা করে হাসিখুশি থাকা । এতে চেহারার কোষগুলিতে সতেজতা বৃদ্ধি পায় এবং সুন্দর চেহারা ফুটে ওঠে ।
(গ) প্রতিদিন বেশি বেশি করে পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার অভ্যাস করতে হবে । সহ্য পায় এমন কিছু দিয়ে যেমন সাবান ইত্যাদি । এতে ময়লা জমতে পারবেনা এবং ত্বক পরিচ্ছন্ন ও ফর্সা থাকবে । বাসায় অবস্থানকালে দিনে কমপক্ষে পাঁচ থেকে সাত বার মুখমন্ডল ধুয়ে নেয়া ভালো । ভ্রমণ করার সময় পানি দিয়ে মুখ মন্ডলে ধুয়ে নেওয়া সম্ভব না হলেও নরম কাপড় ভিজিয়ে পরিষ্কার করা যেতে পারে । কারণ ধুলাবালি পড়া অবস্থায় অনেকে প্রসাধনী লাগিয়ে ত্বকের অনেক ক্ষতি করে থাকে ।
নজর-কাড়া ফর্সা চেহারা
(ঘ) খাবারের অভ্যাসের কারণেও চেহারার মলিনতা বৃদ্ধি পায় । তাই সুষম খাবার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে । বিশেষ করে শাকসবজি, ফলমূল, দুধ, ডিম । শাকসবজি, গাজর, ফলমূল, বাদাম এগুলো ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে ।
নজর-কাড়া ফর্সা চেহারা
(ঙ) খাবারের তালিকায় আমরা বিশেষভাবে খেয়াল রাখব যে, আমাদের খাদ্যাভ্যাসের কারণে যাতে কোষ্ঠ-কাঠিন্যতা না হয় । এটা মুখের ত্বকের ওপর বিশেষ প্রভাব ফেলে । তাই বেশি বেশি ও পরিমিত পানি খাওয়ার অভ্যাস করা ভালো ।
(চ) কাঁচা হলুদের পেস্ট তৈরি করে মুখের ত্বকে লাগানো যেতে পারে । এছাড়া অবসরে শসা পাতলা ভাবে পিচ করে মুখের ত্বকে লাগিয়ে অথবা ত্বকের ময়লা কেটে দূর করে দেয় এমন কিছু প্রাকৃতিক গাছপালার পাতা বা ফুল পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেই পানি দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করা যেতে পারে । এগুলো ত্বক ফর্সা হওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখে ।
নজর-কাড়া ফর্সা চেহারা
(ছ) সঠিক সময়ে এবং পরিমিত ঘুম না ঘুমালে মুখমন্ডল মলিন হয়ে যায় । সুস্বাস্থ্য অর্জনের জন্য বেশি রাত না জেগে সময় মত ঘুমালে, কোনো বিষয়ে অযথা দুশ্চিন্তা না করলে, মন প্রফুল্ল থাকলে বা স্বাস্থ্য সচেতন হতে পারলে, তার প্রভাব মুখ মন্ডলে পড়ে । তাই আমাদের সর্বদা প্রফুল্ল মনে থাকার অভ্যাস করতে হবে।
(জ) অনেকে চাকচিক্য বিজ্ঞাপন দেখে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকে । ক্ষতিকর যে কোনো প্রসাধনী ব্যবহার করা থেকে অবশ্যই দূরে থাকতে হবে । এছাড়া না জেনে ক্ষতিকর কোন কিছুই মুখ ফর্সা করার জন্য ব্যবহার করা ঠিক হবে না ।
২. অপরটি হল ঔষধ বা প্রসাধনী দ্বারা -
(ক) মুখের ত্বক ফর্সা করার জন্য এখন বিভিন্ন প্রকার প্রসাধনী বাজারে এসেছে । যাচাই-বাছাই করে ডাক্তারি পরামর্শের মাধ্যমে আপনি প্রসাধনী মুখে লাগিয়ে মুখের ত্বক ফর্সা করতে পারেন ।
(খ) বর্তমানে মুখের ত্বক ফর্সা করার জন্য বিভিন্ন পার্লারে বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন উপায়ে বিশেষ কিছু প্রসাধনী ব্যবহার করে অথবা প্রাকৃতিক উপায়ে অথবা প্রকৃতি থেকে পাওয়া বিভিন্ন দ্রব্য ব্যবহার করে মুখ ফর্সা হওয়ার জন্য কাজ করা হয় । এক্ষেত্রে সতর্ক হয়ে বিউটি পার্লার থেকে পরামর্শ ও সেবা নিয়ে মুখ ফর্সা করা যেতে পারে ।
নজর-কাড়া ফর্সা চেহারা
(গ) যাদের মুখের ত্বকের সমস্যা বেশি তাদের জন্য একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে মুখ মণ্ডল সুন্দর করা বা ত্বক ফর্সা করার কাজটি করতে হবে । শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার জন্য অথবা বিশেষ কোনো রোগের কারণেও মুখের ত্বকের মলিনতা বৃদ্ধি পেতে পারে । সে ক্ষেত্রে একজন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন ।
নজর-কাড়া ফর্সা চেহারা
আমার পরামর্শ হলো প্রাকৃতিক উপায়ে মুখের ত্বকের যত্ন নিতে পারলেই ভালো হয় । এতে ত্বকের বিভিন্ন কঠিন রোগ থেকে আপনি মুক্ত থাকতে পারবেন এবং বয়ঃ বৃদ্ধকাল পর্যন্ত ভালো থাকবে ত্বক । তাই সঠিক নিয়মে ঠিকমতো ত্বকের যত্ন নিতে পারলে আশা করি এক মাসের মধ্যেই আপনার চেহারায় এক স্থায়ী নজর-কাড়া সৌন্দর্য বিকশিত হবে ।
You must be logged in to post a comment.