৭ দিনে চুল লম্বা করার উপায়। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি

adx Ar
Adx AR

৭ দিনে চুল লম্বা করার উপায়

এক যে ছিলো সোনার কন্যা,মেঘবরণ কেশ -এরূপ নানা লেখা ও গানে ফুটে উঠেছে বাঙালি ললনাদের চুলের সৌন্দর্য।। সকল বাঙালি নারীদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ এক অনুষঙ্গ হলো কেশচর্চা। এর সঙ্গেই  জড়িয়ে আছে নারীর সৌন্দর্য,রুচি এবং আভিজাত্যপূর্ণ সজ্জা। গ্রামীণ পরিবেশে মহিলাগণ সারাদিনের সমস্ত কাজ  শেষে অন্দরমহলে নিজস্ব আড্ডার সাথে শুরু করেন কেশচর্চা। সময়ের সাথে সাথে  রান্নার কৌশলের মতোই কেশচর্চার নানা বিধ উপায় ছড়িয়ে পড়েছে পরবর্তী প্রজন্মের মানুষের কাছে। বর্তমানে নাগরিক জীবনের কর্মব্যস্ততার কারণে অনেক নারীরাই চুলের সঠিক যত্নআত্তি করতে পারেন না। চলুন আজ জেনে নিই  মাত্র ৭ দিনেই চুল লম্বা করার কিছু স্বাস্থ্যকর এবং কার্যকর উপায়।৭ দিনে চুল লম্বা করার উপায়

 

চুলের যত্নে তেল

 

কথায় আছে,"জলে চুন তাজা,তেলে চুল তাজা" অর্থ্যাৎ  চুনকে তাজা রাখতে যেমন জলের প্রয়োজন,তেমনি চুলের সজীবতা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজন চুলে পর্যাপ্ত পরিমাণে তেল প্রয়োগ করা। বহু বছর ধরে সবচেয়ে বেশি সহজলভ্য এবং সবচেয়ে বেশি কার্যকরী হওয়ার কারণে চুলে নারিতেল তেল ব্যবহার হচ্ছে। নারিকেল তেল মাথার  ত্বকে পুষ্টি যোগায় এবং ভিতরে প্রবেশ করে চুলকে গোড়া থেকে মজবুত করে। এছাড়া এই তেলে বিদ্যমান লরিক এসিড চুলের জন্য ক্ষতিকারক ফাঙ্গাস এবং ব্যাকটেরিয়ার বংশবিস্তার হতে দেয় না। ফলে চুল পড়া কমে। চুলের ময়েশ্চার লেভেল বজায় রাখে, ফলে স্ক্যাল্পের ইরিটেশন দূর হয় এবং চুলকানি হয় না। এছাড়াও আমন্ড অয়েল,অলিভ অয়েল এবং ক্যাস্টর অয়েল ইত্যাদি চুলের দ্রুত লম্বা হওয়ার জন্য খুবই উপকারী।

চুলের নানা সমস্যার প্রাকৃতিক সমাধানের জন্য নারিকেল তেলের সাথে অন্যান্য উপাদান মিশিয়ে তা ব্যবহার করতে পারেন।

১] চুলের ঘনত্ব বাড়িয়ে চুলকে স্বাস্থ্যকর করে তুলতে চান..? তাহলে নারিতেল তেলের সাথে অল্প পেয়াঁজ থেতলে গরম করে নিয়ে গোসলের পূর্বে ৫-১০ মিনিটের মতো মাথার তালুতে ম্যাসাজ করুন। এরপর ৩০ মিনিটের মতো রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন। 

 

২] চুল পেকে যাওয়া কিংবা ঝরে যাওয়া এই সমস্যা রোধে জবা ফুল আর জবা পাতা থেঁতো করে নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়ে গরম করে নিন। এরপর ছেঁকে বোতলে সংরক্ষণ করুন। সপ্তাহে ৩ দিন ব্যবহারে এই তেল কার্যকরী ফলাফল দেবে।

 

৩] রুক্ষ,শুষ্ক চুল থেকে মুক্তি পেতে ঘৃতকুমারীর জেল মিহি পেস্ট করে নারিকেলের তেলের সঙ্গে মিশিয়ে চুলে প্রয়োগ করতে পারেন এবং ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন

 

৪] মাথার ত্বকে অ্যালার্জি প্রতিরোধে তুলসীর তেল বেশ কার্যকরী। তুলসী পাতা বেটে এবং মেথী সহ নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। এরপর ঠান্ডা করে ছেঁকে বোতলে সংরক্ষণ করুন।

 

৫] চুলের ঝলমলে ভাব ফিরে পেতে চাইলে আমলকির তেল বেশ উপকারী। নারিকেল তেলের সাথে আমলকীর গুঁড়া,মেথি, কালোজিরা আর কারিপাতা মিশিয়ে ফুটিয়ে নিয়ে সেই তেল ঠান্ডা করে বোতলে সংরক্ষণ করুন এবং সপ্তাহে দুই দিন চুলে ব্যবহার করতে পারেন।

আরও পড়ুন: পুরুষের মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়

৬] খুশকি থেকে মুক্তি পেতে কমলা আর লেবুর খোসা রোদে শুকিয়ে গুঁড়া করে নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়ে গরম করে নিয়ে ঠান্ডা করে ছাঁকনিতে ছেঁকে বোতলে সংরক্ষণ করুন এবং নিয়মিত ব্যবহার করুন

 

৭] চুল পাকা সমস্যায় ভুগছেন..? নারিকেল তেলের সঙ্গে কারিপাতা মিশিয়ে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে সংরক্ষণ করুন এবং সপ্তাহে তিন দিন এই তেল ব্যবহার করলে ধীরে ধীরে চুল পাকা সমস্যা লোপ পাবে।

 

৮] নারিকেল তেল এমনিই খুব উপকারী। কিন্তু এর গুণাগুণ আরো বাড়াতে চাইলে নারিকেল তেলের সাথে ক্যাস্টর তেল, ভিটামিন- ই কিংবা এসেনশিয়াল তেল মিশিয়ে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে রোজমেরী তেল খুব উপকারী হতে পারে কারণ এটি ব্যবহারে চুলের গোঁড়া শক্ত হয় এ চুল পড়া কমে যায়।

 

৯] নারিকেল তেল ছাড়াও চুলে কাঠবাদামের তেল ব্যবহার করতে পারেন। এই তেলটি একেবারেই হালকা এবং আঠালো নয়। ভিটামিন ই-র গুণে ভরপুর এই তেলটি চুলে পুষ্টি যোগায়, চুলের আর্দ্রতা বজায় রেখে চুলকে করে তোলে মজবুত ও ঝলমলে‼

 

১০] জলপাই তেল অর্থাৎ অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন চুলে; কারণ ই তেলটিতে পর্যাপ্ত ফ্যাটি এসিড আছে যা চুলের গোড়াকে শক্ত করে,ত্বক পুনরুজ্জীবিত করে এবং চুলের দ্রুত বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। চুলে পর্যাপ্ত ময়শ্চারাইজারের অভাব থাকলে এটি ব্যবহার করা বেশ উপযোগী হবে।

 

১১] যারা অত্যধিক চুল পড়ে যাচ্ছে,তাদের জন্য খুবই উপকারী ক্যাস্টর অয়েল। এটি ব্যবহারের ফলে চুল পড়া বন্ধ হয়ে চুলের বৃদ্ধি ভালো হতে শুরু করে। এটি বেশি পরিমাণ প্রয়োজন হয় না,খুব অল্প পরিমাণ অন্য তেলের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে।

 

১২] আয়ুর্বেদিক ওষুধপত্রে তিলের তেল সর্বাধিক পরিমাণে ব্যবহার করা হয়। তিলের তেল চুলকে সিল্কি করতে,চুলের বৃদ্ধিতে এবং পুষ্টির যোগান দিতে ব্যবহার করা হয়। পার্লারে হট অয়েল ট্রিটমেন্টে সবসময় ব্যবহার করা হয় তিলের তেল।

৭ দিনে চুল লম্বা করার উপায়

 

চুলের যত্নে হেয়ার মাস্ক

 

হেয়ার মাস্ক ব্যবহারের মাধ্যমে চুল সংক্রান্ত বেশিরভাগ সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়। চুলের যেকোনো বড় সমস্যা হেয়ার মাস্ক ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতিকার করা যায়। বাজারে উন্নত মানের হেয়ার মাস্ক পাওয়া যায়। এসব কিছুটা ব্যয়বহুল হয়ে থাকে। তবে আপনি চাইলে ঘরোয়া জিনিস দিয়েও চুলের মাস্ক তৈরী করে নিতে পারেন। প্রতি সপ্তাহে ১-২ বার চুলে হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। হেয়ার মাস্ক ব্যবহারের পর অবশ্যই শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করে খুব ভালোভাবে চুল পরিষ্কার করে নিতে হবে। চলুন জেনে নিই ঘরোয়াভাবে কি কি কার্যকরী হেয়ার মাস্ক বানানো যায়। 

 

১] ২ টেবিল চামচ নারিকেল তেল,১ চা চামচ মধু এবং ২ টেবিল চামচ বাদাম দুধ মিশিয়ে মিশিয়ে হেয়ার মাস্ক তৈরী করে নিন। মাস্কটি চুলের গোঁড়া থেকে শুরু করে সম্পূর্ণ চুলে লাগিয়ে দেড় ঘণ্টা রাখুন এবং এরপর ভালোভাবে শ্যাম্পু করে নিন। 

বাদাম দুধ এবং নারকেল তেল চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখার পাশাপাশি চুলের গোঁড়া শক্ত করে।

 

২] একটি পাকা কলা ব্লেন্ড করে নিয়ে এতে ২ চা চামচ মধু ও ৩ টেবিল চামচ নারিকেল তেল যুক্ত করুন। মিশ্রণটি চুলে ২০ মিনিট লাগিয়ে রেখে এরপর শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করে ফেলুন। চুলকে ঝলমলে করতে এই হেয়ার মাস্ক খুবই উপকারী।

 

৩] আপনার চুল যদি শুষ্ক হয় এবং ঝলমলে ভাব হারিয়ে খুবই রুক্ষ হয়ে যায় তাহলে প্রোটিন সমৃদ্ধ পেঁপে,কলা এবং মধু যুক্ত হেয়ার মাস্ক আপনার চুলকে উজ্জ্বল,ঝলমলে,সিল্কি এবং মজবুত করতে পারে।

একটি পাকা কলা ব্লেন্ড করে নিয়ে এতে ৪-৫ টুকরা পাকা পেঁপে যোগ করুন এবং পুনরায় ব্লেন্ড করে নিন। এরপর এতে ২ চামচ মধু যোগ করে সবগুলো উপাদান ভালো করে মিশিয়ে নিন এবং মাথার ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। এরপর হালকা গরম জল দিয়ে চুল ধুয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন।

 

৪] ​প্রোটিনে ভরপুর ডিম কিন্তু চুলের বৃদ্ধিতে খুবই কাজের। তাই দুটি পাকা কলা, একটি ডিম ও দুই চামচ মধু মিশিয়ে তৈরি এই হেয়ার মাস্ক চুলের দ্রুত বৃদ্ধি এবং চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতে কাজ করে। মাস্কের ডিমের গন্ধ অসহনীয় মনে হলে সুগন্ধের জন্য ল্যাভেন্ডার, কমলা বা লেবু তেল যুক্ত করতে পারেন। একটি ব্রাশের সাহায্যে মাস্কটি চুলে লাগান এবং ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

 

৫] কলা শুষ্ক ও প্রাণহীন চুলে আর্দ্রতা আনে।

অপরদিকে, দই ও মধু চুলের জন্য প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে।

এই তিনটি উপাদান দিয়ে তৈরি হেয়ার মাস্ক চুলকে ঝলমলে করে তোলে এবং আদ্রর্তা বজায় রাখার জন্য সবচেয়ে ভালো। একটি পাকা কলা বেল্ড করে নিয়ে এতে ২ চা চামচ দই এবং ১ থেকে ৩ চামচ মধু যুক্ত করে একত্রে মসৃণ একটি মিশ্রণ তৈরী করতে হবে। এরপর মাস্কটি চুলে লাগিয়ে ৩০-৪০ মিনিট সময় পর্যন্ত রেখে দিন এবং এরপর শ্যাম্পু দিয়ে ভালোমত ধুয়ে ফেলুন।

 

চুলের যত্নে হেয়ার টোনার/টনিক

 

ফেস টোনার এর কথা কিন্তু আমরা অনেকেই জানি কিন্তু হেয়ার টোনার (hair toner) ব্যাপারটা সবার কাছে পরিষ্কার নয়। বায়ু দূষণ ও অন্যান্য নানা কারণে আমাদের চুলের রং অনেক সময় ফিকে হয়ে যায়। যারা দিনের বেশিরভাগ সময় রোদে থাকেন তাদের এই সমস্যা টা বেশি দেখা যায়। চুলের প্রাকৃতিক রং বজায় রাখা এবং চুলের ঝলমলে ভাব বজায় রাখার জন্য টোনার ব্যবহার করা খুবই প্রয়োজন। বাজারে নানা ব্র্যান্ডের টোনার/টনিক পাওয়া যায়৷ এসব কিছুটা ব্যয়বহুল হতে পারে এবং অনেক সময় রাসায়নিক পর্দাথের উচ্চমাত্রার কারণে চুল উল্টো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এজন্য চলুন জেনে নিই ঘরোয়া পদ্ধতিতে খুব সহজে কিভাবে হেয়ার টোনার বা টনিক তৈরী করা যায়।

 

১]  এক লিটার জলের মধ্যে ২ চামচ কারি পাতা গুঁড়ো, ২ টেবিল চামচ মেথি গুঁড়ো মিশিয়ে এই জল চুলের জন্য হেয়ার টোনার বা টনিক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। 

 

২] আমাদের মধ্যে অনেকের-ই জানা নেই  চালের পানির গুণাগুণ  সম্পর্কে জানা নেই। বহু বছর ধরে চালের পানি কেশচর্চা এবং সৌন্দর্য্য চর্চায় বহুল ব্যবহৃত একটি উপাদান। নির্দিষ্ট পরিমাণ চালের পানির ব্যবহারে  চুলে উজ্জ্বলতা ফিরে আসে,মাথার তালুর ত্বক মসৃণ হয় এবং চুলের রুক্ষতা দূর হয়। এটি তৈরী করার জন্য ১/২ কাপ চাল নিয়ে ২-৩ কাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর পানিটা আলাদা করে নিয়ে এতে ৫-১০ ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল দিয়ে স্প্রে বোতলে ঢুকিয়ে ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে হবে এবং প্রয়োজনমত চুলে প্রয়োগ করতে হবে। 

 

৩] অ্যাপল সিডার ভিনেগার অম্লীয়,তাই এটি চুলের উপরিভাগের কমলা বা হলদে রঙের কোটিং দূর করতে খুবই উপকারী একটি উপাদান হিসেবে কাজ করে। এই উপাদানটি চুলের ত্বকের যেকোনো ফাঙ্গাসের আক্রমণ নির্মূল করে। চার টেবিল চামচ অ্যাপল সিডার ভিনেগার এবং দুই টেবিল চামচ জল একত্রে মিশিয়ে একটি বোতলে সংরক্ষণ করুন। শ্যাম্পু করার পর চুলে ওই জল দিয়ে স্প্রে করে নিন। ১৫ মিনিট পর ঠান্ডা জল দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। সপ্তাহে ২ বারের বেশি এটি ব্যবহার করা উচিত হবে না কারণ এটি চুলকে বেশি শুষ্ক করে দিতে পারে।

 

৪]  যারা প্রাকৃতিকভাবেই চুলে একটু লালচে রং আনতে চাইছেন, তাদের জন্য এই টনিকটি খুবই কার্যকরী। এক চতুর্থাংশ ফ্রেশ লেবুর রস, তিন চতুর্থাংশ জল, দুই টেবিল চামচ মধু একত্রে মিশিয়ে নিয়ে একটি স্প্রে বোতলে সংরক্ষণ করুন। এরপর চুলের আগায় ভালোমত স্প্রে করে নিন। ২ ঘন্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। মাসে ৩ বারের বেশি এই টোনার ব্যবহার করা যাবে না। 

 

৫] প্রথমে ১ মুঠো চাল নিয়ে ২ কাপ জলের সহিত ৭-৮ টি তুলসী পাতা, ২ চা চামচ মেথি দানা দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিতে হবে। কিছু সময় পর এতে  ৫-৬ টি কালোকেশী পাতা ও ১০-১২ টি গোলাপের পাঁপড়ি দিয়ে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিতে হবে। ১০ মিনিট পর চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে একটি স্প্রে বোতলে সংরক্ষণ করুন। গোসলে যাওয়ার ৪০ মিনিট আগে এটি চুলে এপ্লাই করবেন এবং গোসলের সময় শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল ভালোভাবে ধুয়ে নিবেন। 

 

আগেই বলেছি চালের পানি চুলের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ন। এতে তুলসি ব্যবহার করা হয়েছে যাতে তুলসিতে থাকা প্রয়োজনীয় প্রোটিন, আয়রন, ভিটামিন চুল কমায়। এছাড়া মেথি যা চুল ঝরে যাওয়া বা আগা ভেঙে যাওয়া রোধ করে এবং  কালোকেশি পাতা চুলের ঘনত্ব বাড়াতে এবং চুলকে কালো রাখতে সাহায্য করে। গোলাপের পাঁপড়ি চুলের আর্দ্রতা বজায় সাহায্য করে এবং চুলের শোভা বাড়ায়।

৭ দিনে চুল লম্বা করার উপায়

প্রয়োজনীয় কিছু টিপস

 

১] চুলে তেল প্রয়োগের পূর্বে ভালোভাবে জট ছাড়িয়ে নিন। জট ছাড়ানোর জন্য মোটা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করা ভালো।

 

২] চুলে অতিরিক্ত স্টাইলিং এবং তাপ প্রয়োগ চুলের বারোটা বাজিয়ে দেয়। তাই অতিরিক্ত তাপ প্রয়োগ এবং হেয়ার স্টাইলিং করা যাবে না। তাপ প্রয়োগের পূর্বে হেয়ার প্রটেক্টটর ব্যবহার করা সমীচীন।

 

৩] মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ানোর জন্য হাতের আঙুলের সাহায্যে ত্বকে হালকা চাপ দিয়ে ধীরে ধীরে মালিশ করতে হবে। এটি খুব দ্রুত চুলের বৃদ্ধি ঘটায়।

 

৪] সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন চুলে গরম তেল ব্যবহার করুন। তবে খুব গরম তেল যেন না হয়। এছাড়া সপ্তাহে ২ দিন পরিষ্কার চুলে হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। এছাড়া মাসে ৩-৪ বার টোনার বা টনিক ব্যবহার করতে হবে। সবসময় ভালো শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করে চুল ধুয়ে নিতে হবে। 

৫] মাথার ত্বক সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে।

৬] ঘুমানোর সময় চুল হালকা করে বেঁধে ঘুমাতে হবে।

৬]  চুলের সমস্যা সমাধান করার জন্য শুধুই তেল এবং মাস্ক কিংবা শ্যাম্পু ব্যবহার করলেই হবেনা বরং খাবার-দাবারে  নজর দিতে হবে। অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া চুলের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই সব সময়  প্রোটিন, ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করুন। ফ্ল্যাক্সসিড,চিয়া সিড, রাজমা, জিরা, মেথি,খেজুর এবং ফলমূল এবং শাকসবজি এসবই চুলের জন্য খুব উপযোগী।  তাই দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় যোগ করতে হবে। ৭ দিনে চুল লম্বা করার উপায়-অনেকেরই অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে। কিন্তু সঠিক উপায়ে চুলের যত্ন-আত্তি করলেই খুব অল্প সময়েই চুলের খুব দ্রুত পরিবর্তন আসে। স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ঝলমলে লম্বা চুল পেতে হাজার হাজার টাকার জিনিস কেনার প্রয়োজন হয় না। শুধু একটু সচেতনতা,সঠিক পণ্য ব্যবহার ও যত্নআত্তি,পর্যাপ্ত ঘুম,এবং স্বাস্থ্যেকর খাদ্য চুলের জন্য যথেষ্ট।

adx ar

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

adx ar
Comments

You must be logged in to post a comment.

adx ar
POPULAR ARTICLES
About Author

CEO & Founder