খাওয়ার উপকারিতা
কলা কি এবং কলা খাওয়ার উপকারিতা কি এই বিষয়ে আপনি জানতে ইচ্ছুক কি? তাহলে আপনি সঠিক সাইটে এসে পড়েছেন। আজকে আমরা এই আর্টিকেলে আপনাকে জানানোর চেষ্টা করব সমস্ত কিছু, তাহলে দেরি কেন চলুন শ্তরু করি। বহু বছর ধরে কলা একটি জনপ্রিয় ফল হিসাবে বিবেচিত হয়ে আসছে। কলার বহুল প্রয়োজনীয়তা ও উপকারিতা রয়েছে।
কলায় প্রচুর পরিমানে ভিটামিন, মিনারেল এবং ফাইবার পাওয়া যায়। এই ফল খাওয়ার ফলে সর্বক্ষন শক্তিশালী ও ক্ষুধামুক্ত থাকা যায়। কলার রয়েছে সহজ চাষ পদ্ধতি এটি যে কোনো উচু জমিতে সারাবছর চাষ করা যায়। কলার ইতিহাস সম্পর্কে বলতে গেলে কলা মূলত এশিয়াতেই বেশি উৎপাদন হয় বরে জানা যায়।
বাংলাদেশে এই কলার চাষ খুবই জনপ্রিয় হয়ে আসঝে। রাজশাহী, রংপুর , দিনাজপুর সহ দেশেরে পাহাড়ি অঞ্চলে করার ব্যাপক চাষ লক্ষ্য করা যায়। আমরা আজকের এই সম্পর্ন কন্টেন্টে আপনাদের সামনে কলার বহু বিধ ব্যবহার এবং কলা খাওওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আপনাকে জানানোর চেষ্টা করবেঅ। আশা করি কলা সম্পর্কে সম্পুর্ন তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পারব। চলুন তাহলে শ্তরু করা যাক।
কলা খাওয়ার ১৫ টি উপকারিতা:
কলা একটি পুষ্টিকর ও উপকারি ফল। প্রাচীন কাল থেকেই করা সর্ব প্রকার মানুষের কাছেই উপকারি হিসেবে গ্রহনযোগ্যতা পেয়েছে। প্রতি ১০০ গ্রাম কলায় রয়েছে প্রায় ৭০ ভাগ পানি, ১ ভাগ মত আমিষ, শর্করা ৭ ভাগ, এছাড়াও ফ্যাট আঁশ, খনিজ লবন রয়েছে। তাই যে কোন বয়সের মানুষের জন
১. স্বাস্থ্যকর হার্টের জন্য কলা খুব ভালো কাজ করে।
২. প্রতিদিন কলা খাওয়ার মাধ্যমে শরিরে কোলেস্টেরল এর পরিমান নিয়ন্ত্রনে রাখা সম্ভব।
৩. প্রতিদিন কলা খেলে হার্টের বিভিসন্ন রোগ থেকে মুক্ত থাকা যায়।
৪. প্রতিদিন নিয়ম করে কলা খেলে মানসিক তন্দ্রা ও বিষাদ অনেকাংশে কমে যায় বলে জানা যায়।
৫. কলার ভিটামিন সি শরীর কর্মক্ষম করে তুলতে সাহায্য করে।
৬. কলা খুব ভালো কার্যকর এনার্জি উৎস হিসাবে কাজ করে।
৭. কলা শরীরের শক্তি বাড়ানোর সাথে সাথে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে খুবই কার্যকর হিসেবে কাজ করে।
৮. কলা প্রতিদিন খেলে সর্দি কাশি থেকে দ্রুত আরোগ্য লাভ করা যায়।
৯. কলা ফলে পটাসিয়ামের ইপস্থিতির জন্য কলা দ্রুত রক্ত চলাচলে ব্যাপক সাহায্য করে।
১০. কলা শরিরে শক্তিবর্ধক হিসেবে ও কাজ করে এবং কলা খেলে খুব দ্রুত শরিরে শক্তি অনুভব করা যায়।
১১. কিডনি ভালো রাখতে কলার জুড়ি মেলা ভার।
১২. কলাতে ক্যালোরির উপস্থিতির কারনে কলা খেলে ওজন বৃদ্ধি পায় না এবং এই কলা যে কোন সময় দ্রুত পেট ভরতে সাহায্য করে।
১৩. কলার রয়েছে আরও বহুবিধ উপকারিতা পেটের হজমের সমস্যা এবং গ্যাস ও কোষ্ঠকাঠিন্র দুর করতেও করা অনেক উপকারি ফল হিসেবে গন্য হয়।
১৪. কলা চিনির মতো মিষ্টি এবং সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পদার্থ সমৃদ্ধ একটি মিষ্টি ফল।
১৫. কলা ভিটামিন সি এবং পটাশিয়ামের সুপারফুড বিশেষভাবে কাজ করে।
এছাড়াও কলা অনেক উপকারি গুন সম্পুর্ন একটি ফল। আপনি কলা যে কোন সময় খেতে পারেন আশা করি কোন ক্ষতি হবে না।
কলা কি শ্তধু পাকা খাওয়া যায়?
না, কলা কাচা ও পাকা উভয়ই খাওয়া যায়। পাকা করা সরাসরি খাওওয়া যায়। কাচা কলা রান্না করে খাওয়া যায়। সব বয়সি মানুষই কলার তরকারি বেশ পছন্দ করে থাকেন। এছাড়াও কাচা কলা দিয়ে বর্তমানে অনেক ধরনের খাবার রাস্তায় বিক্রয় করতে দেখা যায়। যা মানুষ খুব উপভোগ ও করে থাকে । কলা দিয়ে গ্রামের মানুষ পিঠা ও বানিয়ে খুব মজা করে খেয়ে থাকে। এ থেকে বুঝা যায় যে, করা শ্তধু পাকা না কাচা ও খাওয়া যায়।
কাচা কলা খাওয়ার উপকারিতা
অনেক বছর আগে থেকেই পেটের পিড়া, পেটের সংক্রমন, উচ্চ রক্তমান নিয়ন্ত্রন ও পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়ার খুব কার্যকরি ওষুধ হিসেবে কাচা করার ব্যবহার হয়ে আসছে। এছাড়াও বর্তমানে অনেক ধরনের মুখরোচক খাবার বর্তমানে কাচা করা দিয়ে তৈরি হচ্ছে। নিম্নে কাচা কলার কিছু উপকারিতা তুরে ধরা হলো:
হজমে সহায়তা:
পতলা পায়খানা নিয়ন্ত্রনে সহায়তায়:
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
ওজন কমায়:
হজমে সহায়তা:
কাচা কলা অসুস্থ শরিরেও খেয়ে হজম হয় যায় এবঙ এর আঁশ দূর্বর পাকস্থলিতে ও হজমে বেশ সহায়ক হিসেবে কাজ করে।
পতলা পায়খানা নিয়ন্ত্রনে সহায়তায়:
কাচা কলাকে পাতরা পায়খানা বা ডায়রিয়ার মহৌষুধ বলে থাকেন অনেকে। ডায়রিয়া হরে আপনি যে কোন ডাক্তারের কাছে গেলে আপনাকে সবৃ প্রথম যে খাবার টি খেতে বলবে সেটা হলো কাচা করা।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ:
উচ্চ মাত্রার পটাসিয়াম কলাতে বিদ্রমান থাকায়। কাচা কলা রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রনে বেশ সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে তাদের উচিৎ নিয়মিত কাচা কলার তরকারি খাওয়া।
ওজন কমায়:
কাচা কলায় শ্বেতসারের সরব উপস্থিতি থাকায় ক্ষুধা কমে যায় এবং পেট অনেকসময় ধরে ভরে থাকে। ফলে দ্রুত ওজন কমাতে কাচা কলার অনেক কার্যকর ।আবার কলার যেহেতু প্রাকৃতিক ফর সেই হিসেবে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ও কম থাকে। আমাদের সব বয়সি মানুষের কাচা কলা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিৎ।
কলা খাওয়ার উপযুক্ত সময় কখন?
কলা খাওয়ার নির্দিষ্ট কোন সময নেই তবে সকালে বা বিকেলে নাস্তার সাথে কলা রাখাই সবচেয়ে ভাল সময় বরে মনে করি।
প্রতিদিন একটি করে কলা খেলে কি হয়?
প্রতিদিন একটি করে কলা খেলে আপনার শারিরীক বেশ কিছু সমস্যা থেকে মুক্ত থাকবেন, যেমন হজম সমস্যা, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন প্রভৃতি অসুখ থেকে বেচে থাকতে পারা যায়।
ওজন কমাতে কলা নাকি আপেল খাওয়া ভালো হবে?
আপেলের চেয়ে কলাই বেশি ভালো হবে।
কলা খেলে কি ওজন কমে?
কলা এমন একটি ফল যাতে কলাতে প্রচুর পরিমান আঁশ রয়েছে । তবে চর্বির উপস্থিতি তেমন নেই ফলে হজমতন্ত্রে বিশেষভাবে কলা কাজ করে ফলে কলা খেলে শরিরের ওজন কমে।
শেষকথা:
সমস্ত উপকারিতা একত্রিত করে বলতে গেলে, কলা একটি সুপারফুড যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। নানান রকম ভিটামিন, খনিজ, ওষুধ এবং প্রোটিন ও ফাইবারের উপস্থিতি কলাকে করেছে সমৃদ্ধ । কাচা কলা বা পাকা করা যাই খান না কেন কলা একটি বিশেষ ওষুধি গুন সম্পূর্ন মিষ্টি প্রাকৃতিক ফল।
আশা করছি আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগেছে এবং উপকারে ও আসবে বরে মনে করি। যদি ভালো লেগে থাকে তবে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন না। বিশেষ কিছু জানার থাকরে আপনি কমেন্টে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ
You must be logged in to post a comment.