বাদামের উপকারিতা। কাঁচা না ভাজা? কী ভাবে বাদাম খেলে মিলবে উপকার। জানুন বিস্তারিত!

adx Ar
Adx AR

বাদামের উপকারিতা। কাঁচা না ভাজা? কী ভাবে বাদাম খেলে মিলবে উপকার। জানুন বিস্তারিত!

প্রিয় পাঠক_কেমন আছেন সবাই?  আশা করি অনেক ভালো আছেন।  আমরা সচরাচর এমন একটি খাবার খাই_যেটার পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে আমরা কিছুই জানিনা, বাদাম তেমনই একটি খাবার।  আজকে আমরা বাদামের উপকারি দিকগুলো জানবো এবং এর পুষ্টিগুন সম্পর্কে জানবো। 

 বাদাম এমন একটি খাবার, যা কিনা কাঁচাও খাওয়া যায় আবার ভেঙেও খাওয়া যায়। কাঁচা খেতে হলে সেটা নিয়ম করে খেতে হয়।  তবে ভেঙে খাওয়ার কথা বললে তো আর কথাই নেই। যেমন ধরুন, আমরা বাজারে গেলে রাস্তার পাশে দেখি কেও একজন বাদাম ভেঙে বিক্রি করছে। সেখান থেকে কিনে হাঁটতে হাঁটতে খেতে থাকি, আবার কোথাও আড্ডায় বসলে সেখানেও এটা না চিবালে যেনো আড্ডাই জমেনা।  বসে বা হাটাহাটি করার সময়ও হুদাই চাবাই। অভ্যাসটা আমারও আছে।

মধু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা বাদামের পুষ্টিগুণ কি? কি আছে এতে, শরীরের কোনো উপকারে আসে কি! সময়-অসময় না বুঝে যখন তখন খাওয়া  শুরু করি, তাতে কি শরীরের উপকার হচ্ছে নাকি হিতে বিপরীত হচ্ছে!
এসকল প্রশ্নের উত্তর পাবেন এই পোস্টে। 

বাদামের উপকারিতা। কাঁচা না ভাজা? কী ভাবে বাদাম খেলে মিলবে উপকার। জানুন বিস্তারিত!

প্রথমেই আমরা জানবো_বাদামে কি কি পুষ্টিগুণ রয়েছে!

>--  বাদামে আছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন,  সেলেনিয়াম, ভিটামিন সি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-ই, ফাইবার,অ্যামাইনো অ্যাসিড, পটাশিয়াম এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডসহ আরও কয়েকটি উপাদান। 
আমি নিজেও অবাক হচ্ছি এটা ভেবে যে_সামান্য একটা বাদামে এতো সব পুষ্টি উপাদান কিভাবে থাকতে পারে! বেশ কয়েকটি উপাদানের সংমিশ্রণে তৈরী এই বাদাম। আমরা প্রায় সবাই কোনো না কোনো ভাবে বাদাম খেয়ে থাকি_সেটা বাজারে হোক বা বাইরে কোনো আড্ডায় হোক, কিন্তু আমরা কয়জনেই বা জানি যে আমরা যা খাচ্ছি তা কতটা ভালো বা উপকারী!  এইযে আমি নিজেও কিছুদিন হলো জেনেছি_এর আগে আমি জানতামনা।  একটা জিনিস ভাবলে ভালোই লাগে যে বাদাম স্বল্পমূল্যে কিনতে পাওয়া যায়, তাছাড়া সবাই এটা খেতে পছন্দ করে।

বাদাম খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।  তাছাড়া নিয়মিত বাদাম খাওয়া শুরু করলে শরীরের অনেক পরিবর্তন দেখা দেবো। যেমন ধরুন_ বাদামে কয়েক প্রকারের পুষ্টি উপাদান রয়েছে যেগুলো শরীরের অন্যান্য সব পুষ্টির ঘাটতি পুরণ করে। এক কথায় এটা আপনার শরীরের ভিটামিনের অভাব পূরণ করবে।
বাদামের উপকারিতা। কাঁচা না ভাজা? কী ভাবে বাদাম খেলে মিলবে উপকার। জানুন বিস্তারিত!

বাদাম খাওয়ার নিয়মটা জেনে এবং রুটিন মেনে নিয়মিত খেলে আপনি আপনার শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। বাদাম অনেকেই খেয়ে থাকে তার শরীর স্বাস্থ্য ফিট রাখার জন্য।  বাদামে কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট আর প্রোটিন সঠিক মাত্রায় থাকে যা আপনার ভুড়ি নিয়ন্ত্রণে রাখবে।

বাদাম যদি নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করেন তবে আপনার শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে,ফলে ডায়াবেটিসের মতো জটিল রোগ হওয়ার চান্স অনেকাংশে কমে যায়।

আরো কিছু উপকারী দিক নিচে দেওয়া হলোঃ


  • * বাদামে থাকা ফসফরাস মানবদেহের হাঁড়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাই প্রতিদিন এক বাটি সমান বাদাম খাওয়ার চেষ্টা করুন।
  • *এমনকি এটা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাও বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে, প্রতিদিন খাওয়ার ফলে অতি সুক্ষ্ম কোষগুলোকে আরো সতেজ করে তোলে।
  • *বাদামে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে কোষের ক্ষয় রোধ করে, ফলে আপনার ত্বক অল্প বয়সে কুঁচকে যাবেনা, ত্বকের মোলায়েম ভাব বজায় থাকবে।
  • *শরীর সুস্থ রাখতে মোটামুটি যা যা উপাদানের দরকার_সে সব উপাদান এখানে বিদ্যমান রয়েছে। আপনার শরীরকে আলাদা শক্তি দেবে যার দ্বারা ছোটোখাটো রোগ-জীবাণু সহজেই প্রতিরোধ করতে পারে।
  • *অনিয়ন্ত্রিত ভাবে কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে মানুষ হার্টের বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগে, বাদামে উপস্থিত থাকা কিছু উপাদান  কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।

বাদামের উপকারিতা। কাঁচা না ভাজা? কী ভাবে বাদাম খেলে মিলবে উপকার। জানুন বিস্তারিত!
বাদামে বিদ্যমান থাকা ম্যাগনেসিয়াম শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। আপনারা অবশ্যই একটি বিষয়ে অবগত আছেন যে_ উচ্চ রক্তচাপের কারণে হার্ট অ্যাটাক/স্ট্রোক,কিডনি সমস্যা হতে পারে।
বাদাম খেলে নাকি বেশি ক্ষিদে পায়না!  আমি অববশ্য এই বিষয়ে তেমন কিছু যানিনা, এটা কতটুকু সত্য সে বিষয়েও আমি এখনো অজ্ঞ।  তবে ক্ষিদে কম পাওয়ার উপকারটা হলো_অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে শরীর বৃষ্টি পাবেনা। আমরা নিয়মের বাইরে অধিক খাওয়াদাওয়া করি,এজন্য শরীরের ফ্যাট জমে গিয়ে শরীর অতিরিক্ত বেড়ে যায় এবং ভুড়িও অনেক বড় হয়ে যায়। 

আমরা বাঙালীরা অনিয়ন্ত্রিত ভাবে খাবার গ্রহণ করি। এই কারণে আমাদের শরীরে অনেক রকমের অসুখ-বিসুখ দেখা দেয়। তাই আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে_বাদাম খেয়ে অন্তত শরীরের কিছুটা ঘাটতি পূরণ করুন।
অতএব, উপকারের কথা মাথায় রেখে আপনারা প্রতিদিন যতটা পারেন বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করুন। আর যারা আগে থেকে খেতেন তারা আরও বেশি করে খান, এতে আপনার নিজেরই উপকার হবে।

সর্বপরি,


পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য ধন্যবাদ। লিখায় ভুল হলে অথবা কোথাও কিছু মিসটেক হয়ে গেলে কমেন্টে জানাবেন। আর আর্টিকেলটি আপনার কেমন লেগেছে সেটাও কমেন্ট করে জানান।
আজ এ পর্যন্তই_পরে আবার পোস্ট নিয়ে হাজির হবো ভিন্ন টপিকে। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন_সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ

adx ar

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

adx ar
Comments

You must be logged in to post a comment.

adx ar
POPULAR ARTICLES
About Author